যেখানে সেখানে বমি বমি ভাব? জেনেনিন ঘরোয়া কিছু সমাধান

Written by News Desk

Published on:

বমি শরীরের অপাচ্য খাবার ও দূষিত পদার্থের উদ্গমন ছাড়া আর কিছুই না। যা আমাদের দেহের অভ্যন্তরের একটি অত্যন্ত সাধারণ প্রক্রিয়া যার দ্বারা শরীর নিজের সিস্টেমকে বিশোধন করে মাত্র। অনেকসময় বমি না হলেও আমাদের বমি বমি ভাব কিন্তু অনুভূত হয়েই থাকে যা যথেষ্ট অস্বস্তিকর এবং বিরক্তির কারণ বটে। ফুড পয়জনিং, মোশন সিকনেস, হ্যাংওভার ইত্যাদির কারণে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, এই বমির উপক্রম হলে বা বমির ভাব এলে কি করা উচিৎ।

১.পুদিনা / মৌরি- খাবার পর মৌরি বা পুদিনা থাকলে চিবিয়ে খান তাতেও কাজ হবে। এটি কাছে রাখতে পারেন। বমি ভাব লাগলেই এটি খান। আপনার বমির সমস্যা থক্লে ব্যাগে রাখবেন এটি।

২.দারুচিনি- দারুচিনি অনেকেই মুখে রাখতে পছন্দ করেন মুখের গন্ধ দূর করার জন্য। কিন্তু এর ঝাঁঝালো গন্ধ বমিভাব চট করে দূর করে দেয়। তবে যদি কারো অসুবিধে থাকে তবে জলে সেদ্ধ করে সেই ঈষৎ উষ্ণ জল ধীরে ধীরে পান করলেও তা পাকস্থলীকে আরাম দেবে এবং সাথে ব্যাকটেরিয়া ও ধ্বংস করবে।

৩.আদা- আদা কুচিয়ে চিবোতে পারেন বা জলের সাথে আদার রস মিশিয়েও পান করতে পারেন। আদার উগ্র ঝাঁঝ বমির ভাবকে তৎক্ষণাৎ দূর করে দেবে।

৪.শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ- শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করেও ফল পেতে পারেন হাতে নাতে। এটির একটি বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমে বুকভর্তি লম্বা শ্বাস নিন নাকে। এরপর তা কিছুসময় ধরে রাখুন শরীরে। তারপর মুখ দিয়ে তা আস্তে আস্তে ছাড়ুন। এটি আপনার নার্ভাস সিস্টেমকে স্থিরতা দিয়ে আপনার উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে।

৫.লেবু- টক জাতীয় জিনিস এমনিতেই অম্বল ভাবকে কাটিয়ে দিতে ওস্তাদ। তাই বমিভাব অনুভব করলেই লেবুরস পান করলে তা বমিভাব তো কাটাবেই বরং লেবুর ভিটামিন সি সহ অন্যান্য খনিজ উপাদান আপনার দুর্বলতা কাটিয়ে আপনাকে করে তুলবে তরতাজা।

৬.কব্জির ভূমিকা- এখানে আপনাকে তর্জনীর সোজাসুজি কব্জির অংশে তিনটি আঙ্গুল দ্বারা ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে ২-৩বার ম্যাসাজ করতে হবে। এই প্রক্রিয়া কিছুবার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। ১০ মিনিট পর দেখবেন বমি ভাব একেবারে নেই।

TS

Related News