মধুর গুণাগুণের কোনও শেষ নেই। প্রাকৃতিক খাবার থেকে ওষুধ সবেতেই ব্যবহার রয়েছে মধুর। সেই আদ্যিকাল থেকে মধুর ব্যবহার। মুনি-ঋষিরা যেমন যজ্ঞে মধু ব্যবহার করতেন তেমনই শরীর সুস্থ রাখতেও খেতেন মধু। মধু খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা এড়ানো যায়। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে হার্টের সমস্যা- খুব ভালো কাজ করে মধু। তবে অন্য সব কিছুর মতো মধুতেও এখম মিশছে ভেজাল। বড় বড় ব্র্যান্ডও মধুতে মেশাচ্ছেন চিনির রসের ভেজাল। বিভিন্ন সংস্থার তরফে মধুর নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে তাতে চিনির পরিমাণ অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজ্ঞাপন দিয়ে ফ্রুকটোজ সিরাপ বিক্রি করছে নামজাদা ওই সংস্থাগুলি। ভেজালের রমরমা যেভাবে বেড়েছে তা দেখে স্তম্ভিত অনেকেই। কিন্তু কীভাবে চিনবেন খাঁটি মধু? কেনার সময় সকলেই আমরা মান দেখে নয়, মধু কিনি দাম দেখে। আর সেই মধু যে ভেজাল মেশানো কিনা তা যাচাই করেও দেখি না। খাঁটি মধু বলা হয় সেই মধুকেই , যে মধু শীতকালে জমে যায়। এছাড়া যে মধু সারা বছর তরল থাকে তা কিন্তু মোটেই খাঁটি মধু নয়। আরও কী কী পদ্ধতিতে চিনবেন খাঁটি মধু জানুন।
ফ্রিজিং পরীক্ষা
মধুকে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়ে আসল নাকি নকল তা নির্ণয় করা যায়। খাঁটি মধু জমবে না। ভেজাল মধু ফ্রিজে রাখলে পুরোপুরি না জমলেও জমাট তলানি পড়বে।
আঙুলের সাহায্যে পরীক্ষা করুন
মধুর পুরুত্ব দেখার মাধ্যমে আসল মধু চেনা যায়। বৃদ্ধাঙ্গুলে সামান্য মধু নিন, যদি তা বেশ আঠালো মনে হয় তাহলে বুঝবেন এটি আসল মধু। দেখবেন দুটো হাত চিটেই থাকছে।
TS