এটা ভালো লক্ষণ নয়, দেখেনিন এর থেকে মুক্তি পাবেন যে ভাবে, জেনেনিন বিস্তারিত

Written by News Desk

Published on:

ঘন ঘন পিঠে, কোমরে ব্যথা হচ্ছে? যদি এই সমস্যায় ভোগেন তাহলে আর দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

জেনে রাখা দরকার, কিডনি রোগের উপসর্গগুলোর একটি কোমর ব্যথা হলেও এর আরও অনেক কারণ রয়েছে। তাই কোমরে ব্যথা মানেই কিডনি রোগ—এমনটি ভাবার কোনও কারণ নেই।
অস্টিওপোরোসিস হাড়ের একটি বিশেষ রোগ। পুরুষের চেয়ে নারীরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে বেশি। তবে এই রোগের লক্ষণ জানা থাকলে এই রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জিনিউজ অবলম্বনে জেনে নিন অস্টিওপোরোসিসের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়।

অস্টিওপোরোসিস রোগের লক্ষণ : অস্টিওপোরোসিস নিঃশব্দে ক্ষতি করে। তাই প্রথম থেকে লক্ষণ বোঝা মুশকিল। তবুও সবসময় সচেতন থাকুন। ঘন ঘন পিঠে ব্যথা হলে, পেশিতে যন্ত্রণা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

দাঁতে ক্ষত হলে কিংবা কম সময়ের ভেতর অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে গেলে সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে শিরদাঁড়ায় আকারগত পরিবর্তন হলে বা ব্যথা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

যাদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিস এর ঝুঁকি বেশি

এক. যাদের বয়স ৪০ এর বেশি তাদের অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজের পর শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন কম নিঃসৃত হয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন এই অসুখ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

দুই. পরিবারের কারও, বিশেষ করে মায়ের যদি এই রোগ থাকে তাহলে এই অসুখ সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যারা রোদে কম বের হন তাদেরও এই অসুখ হতে পারে।

তিন. রোগা ও কম উচ্চতার মহিলাদের শরীরের হাড় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্বল হয়। ফলে অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

চার. যারা ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ করে তাদের এই রোগ হতে পারে। কারণ ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল শরীর থেকে ক্যালসিয়াম কমিয়ে দেয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে।

‍এ রোগের জন্য করণীয় :

এক. পায়ের পাতা, হিপ বোন বা মেরুদণ্ডে ব্যথা হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

দুই. সামান্য ব্যথা হলেও অবহেলা করবেন না।

তিন. চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম খান।

চার. নিয়মিত শরীর চর্চা করুন।

পাঁচ. খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, ফল, ডাল, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার রাখুন।

Related News