প্রতিদিন ঠিক কতটা পরিমানে লবন খাওয়ায় উচিত! জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

লবণ নিয়ে আমাদের মধ্যে বিভিন্ন ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকে বডিওয়েট বেড়ে যাওয়ার ভয়ে লবণ কম খান এবং উচ্চ রক্তচাপের ভয়ে অনেকে লবণ এড়িয়ে চলেন। কেউ কেউ আছেন লবণ ছাড়া কোন খাবার খেতেই পারেন না। আবার শরীরের জলশূন্যতা পূরণের জন্য অনেকে লবণপানি খেয়ে থাকেন। তবে লবণ খাওয়া উচিত কি উচিত না তা নিয়ে অনেকেই আছেন দ্বন্দ্বে।

ডায়েট বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রত্যেক দিন এক চা চামচ লবণ খাওয়া উচিত। পাঁচ থেকে ছ’গ্রাম লবণ খাদ্যতালিকায় রাখা যায়। তবে কাঁচা লবণ না খেয়ে রান্নায় লবণ দিয়ে খাওয়াই ভাল। অন্যথায় খোলায় লবণ টেলে, তা খেতে পারেন। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যায় যারা দীর্ঘদিন ভুগছেন, তাদের কাঁচা লবণ খাওয়া একদমই উচিত নয়।

লবণে শতকরা ৯৭-৯৯ ভাগই হল সোডিয়াম ক্লোরাইড। ফলে লবণ খাওয়া একেবারেই বন্ধ করলে প্রথমেই সোডিয়ামের অভাব হবে। এর অভাবে নানা রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। হুট করে প্রেশার কমে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে। তাই লবণ খাওয়া বন্ধ না করে রান্নায় দিয়ে তারপর খাবেন। লক্ষ্য রাখবেন, প্রতিদিন এর পরিমাণ পাঁচ-ছয় গ্রামের বেশি যাতে না হয়। তবে আয়োডাইজড সমৃদ্ধ লবণ হলে ভাল। কারণ আয়োডিন শরীরের জন্য উপকারী।

লবণ খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকাটা জরুরি। কিভাবে সচেতন থাকবেন তা এবার জেনে নিন…

• সাধারণ মাখন, চিজ, পাউরুটি ইত্যাদি খাবারে কিছুটা পরিমাণে লবণ থাকে। তাই এই জাতীয় খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকলে অন্য খাবারে লবণের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

• যারা রোজ কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম বেশি করেন, তারা ডায়াটিশিয়ানের পরামর্শ মতো খাবারে লবণের পরিমাণ স্থির করুন। কারণ ঘামের মাধ্যমেও শরীর থেকে জল ও লবণ অনেকটাই বেরিয়ে যায়। ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স কম হলেও ডায়াটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে লবণের পরিমাণ বাড়াতে হতে পারে।

• বাজারচলতি প্যাকেটজাত খাবার যেমন- চিপস থেকে শুরু করে হ্যাম, সসেজ, সয়া সস, টমেটো সসেও লবণ থাকে। এই ধরনের খাবারের বিষয়েও সচেতন হবেন।

মাছ, মাংস বা ডিম থেকেও সোডিয়াম পাওয়া যায়। তবে রোজকার চাহিদা তাতে মেটে না। সেখানে অল্প লবণ অনেক সহজেই সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারে।

Related News