ভাইরাসের জন্য জ্বর না সাধারণ জ্বর ? বুঝেনিন ৬ টি বিশেষ উপসর্গ দেখেই

Written by News Desk

Published on:

দিন দিন ভয়াবহ থেকে ক্রমশ অতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত।

অপরদিকে ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বর-কাশি প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ফলে এই সংক্রমণকে অনেকে করোনার সঙ্গে গুলিয়ে বাঁধাচ্ছেন বিপত্তি।

তাই করোনা সংক্রমণ আর সাধারণ জ্বর এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য করবেন কী করে- সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনিল গুরতু।

তিনি বলেছেন, করোনা আক্রান্ত হলে প্রথম ১০ দিনে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর থাকবে। কারণ এই ভাইরাসের প্রকোপ মানব দেহে ১০ দিন জারি থাকে। আর সঙ্গে শুকনো কাশি।

ওই চিকিৎসক আরও বলেছেন, যেটা ভাইরাল জ্বর বা সাধারণ জ্বর (ফ্লু), অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের জেরে হয়ে থাকে, সেটায় জ্বরের সঙ্গে সর্দি, নাক বন্ধ, গলা খুশখুশ হয়। কিন্তু করোনাতে নাক বন্ধ কিংবা সর্দির লক্ষ্মণ দেখা যায় ন। এই ভাইরাস সোজা শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, তাই শুকনো কাশির সঙ্গে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর শরীরকে দুর্বল করে তোলে।

সাধারণ জ্বর ও করোনা জ্বরের মিল ও অমিলগুলি কি কি

১) সাধারণ ফ্লু ও করোনা দুটিই ভাইরাসঘটিত অসুখ হলেও দুই অসুখের ভাইরাস সমগোত্রীয় নয়। সাধারণ ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপে হয় আর কোভিড-১৯ হয় করোনা গ্রুপের ভাইরাসের কারণে।

২) করোনাভাইরাস অনেক দ্রুত গতিতে ছড়ায়। তুলনামূলকভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অতি মন্থরগতিতে ছড়ায়।

৩) সাধারণ ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়। করোনা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।

৪) সাধারণ ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে জ্বর ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। তবে ওষুধের কাজ শুরু হলে তা নামতেও শুরু করে। করোনার ক্ষেত্রে জ্বর প্রবল হলেও নামতে চায় না সহজে। তখন কোন ওষুধও কাজ করে না।

৫) সাধারণ ফ্লু বোঝার জন্য কোনো আলাদা করে পরীক্ষার দরকার পড়ে না। কিন্তু করোনা কিনা তা জানতে পলিমারেস চেন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর পরীক্ষা করা হয়।

৬) সাধারণ ফ্লুয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক রয়েছে। কিন্তু করোনা রোধে কোনো প্রতিষেধকের আবিষ্কার এখনো পর্যন্ত হয়নি।

Related News