ফুলকপির অসাধারণ এই ৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা, সম্পক্ষে জেনেনিন বিস্তারিত

Written by News Desk

Published on:

শীতকলীন সবজি ফুলকপিতে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। এতে পানির পরিমাণ শতকরা ৮৫ ভাগ। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেড, ফ্যাট ও প্রোটিন রয়েছে। এই বহুমুখী গুণ সম্পন্ন সবজিটি কাঁচা, সেদ্ধ বা রান্না করেও খাওয়া যায়।

চলুন জেনে নিই- ফুলকপির ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা।

১. হৃদ-স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে
ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে, যা ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখে। গবেষণা মতে, সালফোরাফেন ডিএনএ-এর মিথাইলেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। সালফোরাফেন ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। অন্য এক গবেষণায় জানা যায়, ফুলকপির সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ হলুদ যোগ করলে প্রোস্টেট ক্যানসার নিরাময়ে ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

২. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
ফুলকপিতে আরেকটি উপকারী যৌগ কোলাইন থাকে। এটি মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে। প্রেগনেন্সির সময়ে ফুলকপি গ্রহণ করলে ভ্রূণ পরিপূর্ণতায় সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, চিন্তা এবং স্মৃতির উন্নয়নে সাহায্য করে কোলাইন।

৩. শরীরকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করে
ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে, যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।

৪. প্রদাহ কমায়
ফুলকপিতে ইন্ডোল ৩ কার্বিনোল থাকে, যা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। এটি শক্তিশালী ইনফ্লামেটরি রিঅ্যাকশন প্রতিরোধ করে।

৫. হজমের উন্নতি ঘটায়
ফুলকপি হজমে বেশ সাহায্য করে। ওয়ার্ল্ডস হেলদিয়েস্ট ফুডস এর মতে, ফুলকপি পাকস্থলীর প্রাচীরের সুরক্ষায় সাহায্য করে। ফুলকপির সালফোরাফেন পাকস্থলীর হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে এবং পাকস্থলীর প্রাচীরে এর আবদ্ধ হওয়াকে প্রতিহত করে।

৬. ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ
ফুলকপিতে ভিটামিন সি, বিটাক্যারোটিন, কায়েম্ফেরোল, কোয়ারসেটিন, রুটিন, সিনামিক এসিডসহ আরো অনেক উপাদান থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এগুলো বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সংকুচিত করে এবং টিস্যু ও অঙ্গের ক্ষতি হওয়া প্রতিহত করে।

Related News