
প্রত্যেক নারী-পুরুষই তার বিবাহিত জীবনে সুখী হতে চায়। এক্ষেত্রে পছন্দেরও থাকে ভিন্নতা। বিয়ের আগে অনেক পুরুষের পছন্দ থাকে নরম স্বভাবের নারী। যারা সংসারে শান্তি বজায় রাখবে বলে তাদের ধারণা।
তবে ধারণাটি একদমই সঠিক নয়। বরং এমন কিছু স্বভাব আছে যা একজন নারীর মধ্যে থাকলে সংসারে সর্বদা সুখ বজায় থাকবে। মনোবিদদের মতে যাদের আপাতপক্ষে দেখে খানিকটা ‘পাগলি’ বলে মনে হয় আসলে তারাই স্ত্রী হিসেবে সব চেয়ে ভালো হন।
নির্ভেজাল মানুষ
এই ধরনের নারীরা সামনে এক আর পেছনে অন্যরকম স্বভাবের হয় না। তারা যেমন, তেমনটাই সবার সামনে থাকেন। কোনো অভিনয় করেন না। যাকে একবার দেখেই বুঝবেন এর দোষ-গুণ কী কী রয়েছে। এরা নিজেদের দোষ ঢাকতে মিথ্যার আশ্রয় নেন না। মানুষ হিসাবেও খুব সৎ হন।
সবসময় আগলে রাখে
এদের সামনে যদি স্বামী বা কোনো প্রিয়জনকে কেউ অপমান করেন, তবে আর রক্ষে নেই। যতক্ষণ না অপমানকারীকে মাথা নত করাচ্ছেন, ততক্ষণ খান্ত হন না।
এনার্জিতে ভরপুর
এরা খুব অনুপ্রেরণাদায়ক প্রকৃতির হয়। শুধু নিজেরাই নন, এদের সঙ্গে যারা থাকেন তারাও সানিধ্যের গুণে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন।
হারতে জানেন না
এদের মনের জোর এতটাই বেশি হয়, যে এরা হার মানতে জানেন না। অনেকেই যে পরিস্থিতিতে হাল ছেড়ে দেয়, সেখানে এরা সে পরিস্থিতিতে লড়াই চালিয়ে যান। যতক্ষণ না জিতে যাচ্ছেন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, এ রকম জীবন সঙ্গিনী পাওয়া ভাগ্যের বিষয়।
ন্যাকামি পছন্দ নয়
এই ধরনের নারীদের মধ্যে কোনো রকম ন্যাকামি থাকে না। বাইরে হোক কিংবা ঘরোয়া পার্টি, এরা নারী হিসেবে কখনো আলাদা সুবিধা দাবি করেন না। যেখানে যেমন, সেখানে তেমন ভাবেই থাকতে পছন্দ করেন। তাই ঘুরতে বেরিয়ে বা ট্যুরে গিয়ে কখনো এদের নিয়ে সমস্যায় পড়বেন না।
অসাধারণ প্রেমিকা
আদর্শ প্রেমিকা বলতে যা বোঝায় এরা তাই। ভালোবাসার জন্য আলাদা কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না। ইনি সঙ্গে থাকলে যে কোনো দিনই অন্যরকম ভালোলাগা এনে দেয়। বিয়ের পরে অনেকের ক্ষেত্রেই প্রেম-জীবন পানসে মনে হয়। তবে এদের ক্ষেত্রে কথাটি একেবারে খাটে না।
সৃজনশীল
আসলে সৃজনশীল মস্তিষ্কের জন্যই এরা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা হন। এদের জীবন খুব সৃজনশীল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। আউট অফ দ্য বক্স ভাবতে এদের জুড়ি মেলা ভার।