সারারাত এসি চালিয়ে ঘুমালে শরীরে কী ঘটে জানেন?

Written by News Desk

Published on:

তাপপ্রবাহে এসির ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। নির্মম তাপপ্রবাহে সাধারণ মানুষ বাঁচার জন্য নানা উপায় খুঁজছে। এদের মধ্যে এসি ও কুলিং অন্যতম। তাপপ্রবাহ বাড়ার কারণে এয়ার কন্ডিশনার এখন উপশহর ও গ্রামীণ এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে, তবে এর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিও আছে।

এসি চালু রেখে ঘুমালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে যাদের হাঁপানি বা অ্যালার্জির মতো বিদ্যমান শ্বাসকষ্ট আছে। ফলে কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে কফ হওয়া ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

এসি ইউনিটগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে অ্যালার্জির মতো সমস্যা হতে পারে, এটি শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলো বাড়িয়ে তোলে।

এজন্য এসির তাপমাত্রা একটি মাঝারি স্তরে সেট করতে হবে ও অ্যালার্জি কমাতে নিয়মিত এয়ার ফিল্টারগুলো পরিষ্কার বা প্রতিস্থাপন করতে হবে।

এসি চালু রেখে ঘরে ঘুমালে আর্দ্রতার মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে ত্বক ও চোখ শুষ্ক হতে পারে। ফলে শুষ্কতা, চুলকানি ও ফ্ল্যাকিনেস দেখা দেয়। একই সঙ্গে শুষ্ক বাতাসে দীর্ঘসময় এক্সপোজার হলে চোখে জ্বালা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।

শুষ্ক ত্বক ও চোখের সমস্যা উপশম করতে, ঘরে আর্দ্রতার মাত্রা বাড়ানোর জন্য একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।

এসি চালু রেখে ঠান্ডা ঘরে ঘুমোলে পেশি শক্ত হওয়া এবং জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে যদি শরীর দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকে।

এছাড়া ঠান্ডা বাতাস আর্থ্রাইটিস বা অন্যান্য পেশি সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ায়। পেশি শক্ত হওয়া ও জয়েন্টে ব্যথা রোধ করতে, এসির তাপমাত্রাকে আরামদায়ক স্তরে সেট করতে হবে।

এসি চালু রেখে ঘরে ঘুমালে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে, কারণ ঠান্ডা বাতাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় ও ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য শরীরকে আরও সংবেদনশীল করে তোলে।

শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে, এসিকে আরামদায়ক ঘরের তাপমাত্রায় রাখা উচিত। ইমিউন সিস্টেমকে বাড়াতে ঘন ঘন হাত ধোয়া ও অসুস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে হবে। এসি চালু থাকা ঘরে ঘুমলে ঘুমের ধরণ ব্যাহত হয়। ঠান্ডা তাপমাত্রা রাতের বেলায় অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।

আরামদায়ক ঘুমের জন্য, এসির তাপমাত্রাকে আরামদায়ক স্তরে সেট করতে হবে। হোয়াইট নয়েজ মেশিন বা ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করে আওয়াজও বন্ধ করা যেতে পারে। অতিরিক্ত ক্যাফিন খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

এসি চালু রেখে ঘুমাোলে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যালার্জি হতে পারে। এসি ইউনিটগুলি সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে ধুলো, শ্যাওলা জমে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে আর্দ্রতার মাত্রা কম হলেও অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জির উপশম করতে, এসি ইউনিটে একটি হাই-পাওয়ার ফিল্টার ব্যবহার করা যেতে পারে।

Related News