এসি কেনা ও ইনস্টলের সময় যা মনে রাখবেন

Written by News Desk

Published on:

এই তীব্র তাপদাহে এসি ছাড়া থাকা মুশকিল। বাইরে বের হলেই এখন হাঁসফাঁস দশা। বাড়ি ফিরে তাই অনেকেই প্রথমে এসির রিমোট হাতে নিয়ে নেন। চালিয়ে দেন এসি।

তবে হুটহাট এসি চালালে বাড়ে বিদ্যুতের বিল। কারণ এসি চালানোর সময় আমরা কিছু কাজ করতে ভুল যাই। যার ফলে মাসের শেষে অনেকগুলো টাকা চলে যায়। তাই এসি কেনা ও ইনস্টল করার সময় কিছু টিপস মাথায় রাখা জরুরি, যেমন-

কত টনের এসি লাগাবেন

এসি কেনার সময় প্রথমে ঘরের আয়তন দেখে নিন। ঘরের আয়তন অনুযায়ী, এসির টন ঠিক করতে হয়। খুব বড় ঘরে ছোট আয়তনের এসি লাগালে ঘর ঠান্ডা হতে সময় লাগে।

মেশিনের উপর বেশি চাপ পড়ে। কম্প্রেসর অর্থাৎ ঘরের বাইরে লাগানো ইউনিটটিকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে বিদ্যুতের বিল বাড়ে।

বাইরের ইউনিট সঠিক স্থানে লাগান

বাইরের দিকে যে ইউনিট লাগাচ্ছেন, সেটি এমন স্থানে লাগান, যেখানে রোদ পড়ে না। রোদ পড়লে মেশিন গরম হয়ে থাকে। ফলে ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে। তাতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।

বারবার অন অফ

বারবার এসি অন বা অফ করা মোটেই ঠিক নয়। প্রতিবার যখন এসি অন করা হচ্ছে, তখনই অনেকটা বিদ্যুৎ একবারে টেনে নেয়। ফলে বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যায়।

এসির তাপমাত্রা কমিয়ে ফেলা

এসি অন করে প্রথমেই তাপমাত্রা অনেকটা কমিয়ে ফেলা উচিত নয়। তাহলে ঘরকে দ্রুত ঠান্ডা করার জন্য কম্প্রেসরকে অনেক খাটতে হয়। যার ফলে এসির বিল বাড়তে থাকে।

নিয়মিত এসি সার্ভিসিং

নিয়মিত এসি সার্ভিসিং করানো জরুরি। কারণ প্রতিবার এসি চললে ঘরের ধুলোবালি এসির ফিল্টারে গিয়ে জমা হয়। এই ধুলোবালি যত বেশি জমে, তত ঠান্ডা হাওয়া ঘরে কম ঢোকে।

তখন আবার সেই কম্প্রেসরের উপর চাপ। আবার বাড়তে থাকে বিদ্যুতের বিল। প্রতি ২-৩ মাস অন্তর সার্ভিস করানো ভাল।

রাতে এসির তাপমাত্রা

রাতে এমনিই পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি বা তার বেশি রাখুন। এতে বিল সাশ্রয় হয় অনেকটাই।

ইকো মোড

এসির রিমোটে ইকো মোড অপশনটি অনেক ক্ষেত্রেই থাকে। এটি অন থাকলে এসি থেকে পরিবেশ দূষণ কম হয়।

পাশাপাশি একেকটা ঘরে একেকটা এসি না চালিয়ে সবাই যদি এক ঘরে থাকেন, তাহলে একসঙ্গে ভাল সময় কাটানো যায় আবার এসির বিলও কম আসে।

Related News