রোদে বের হওয়ার কতক্ষণ আগে সানস্ক্রিন মাখবেন?

Written by News Desk

Published on:

রোদে বের হওয়ার আগে অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। তবে দিনে ঠিক কতবার ও কতটুকু সানস্ক্রিন মাখা উচিত তা অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না।

ফলে সানস্ক্রিন মাখলেও সব সময় তা কার্যকর হয় না। ত্বকে সরাসরি রোদ পড়ে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তবে কতবার ও কতটা মাখবেন সেটা জানার আগে জেনে নেওয়া যাক, কেন সানস্ক্রিন মাখা জরুরি?

সানস্ক্রিনকে ত্বকের প্রসাধনী বলা যায় না। বরং এটি ত্বকের নিরাপত্তার জন্য মাখা উচিত। ত্বকের ক্যানসার, চর্মরোগ থেকে বাঁচতেই এটি ব্যবহার করা উচিত।

তাই কেনার আগে বেশ কিছু প্যারামিটার অর্থাৎ গুণাবলী দেখে তবেই সানস্ক্রিন কেনা উচিত। এমনকি কতক্ষণ রোদে থাকতে হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। সেই বুঝে সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া উচিত।

সানস্ক্রিন মূলত ইউভিবি রশ্মির হাত ত্বককে বাঁচায়। এছাড়া সূর্যের আরও দুটি রশ্মি আছে। ইউভিএ ও ইউভিসি রশ্মি। ইউভিসি রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে না। ইউভিএ’র থেকেও নিরাপদ রাখে সানস্ক্রিন।

আরও পড়ুন

কোন সানস্ক্রিন ত্বকের জন্য ভালো?

এসপিএফ অর্থাৎ সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর দেখে নিতে হবে। ৩০ এসপিএফ ত্বককে অনেকটা সুরক্ষা দেয়। তবে এর থেকেও বেশি যেমন এসপিএফ ৬০ এর সানস্ক্রিনও কিনতে পারেন।

সানস্ক্রিন দিনে যতবার মাখা দরকার, ততবার অনেকেই মাখেন না। সেক্ষেত্রে এসপিএফ ৬০ এর সানস্ক্রিন ত্বককে বেশি সুরক্ষা দেয়।

মিনারেল না কেমিক্যাল সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন?

কেমিক্যাল সানস্ক্রিন অ্যাভোবেনজোন, অক্টিস্য়ালেট জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি। অন্যদিকে মিনারেল সানস্ক্রিন জিংক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড দিয়ে তৈরি হয়। দুটিরই কাজ সমান। তবে কেমিক্যাল সানস্ক্রিন ত্বকের সমস্যা ঘটালে মিনারেল সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।

কতবার সানস্ক্রিন মাখা উচিত?

রোদের মধ্যে থাকলে ঘন ঘন সানস্ক্রিন মাখা দরকার। অন্তত প্রতি দুই ঘণ্টায় একবার করে সানস্ক্রিন মাখা জরুরি। যাদের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা আছে কিংবা বারবার সানস্ক্রিন ব্যবহারের সুযোগ নেই, তারা বেশি এসপিএফ এর সানস্ক্রিন কিনবেন।

রোদে বের হওয়ার কতক্ষণ আগে মাখবেন?

রোদে বেরোনোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন মাখুন। মুখের পাশাপাশি গলার যে অংশ ঢাকা নেই, সেখানেও সানস্ক্রিন মাখা জরুরি।

এতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাওয়া যায়। অনেকে এসপিএফ মেকআপ করে বাইরে বের হন। তবে সানস্ক্রিনের মতো কাজ করে না এ ধরনের প্রসাধনী।

Related News