হঠাৎ করে আপনার শরীরে কি ঘাম বেশি হচ্ছে? দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসার কাছে জান

Written by TT Desk

Published on:

গ্রীষ্মকালে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। পরিশ্রম করলে গ্রীষ্মকালে এমনি শরীর ভিজে যায়। কিন্তু ধরুন একই পরিবেশে যদি পাশের ব্যক্তির শরীরে অতিরিক্ত ঘাম দেখা যায় তাহলে চিন্তার কারণ রয়েছে বলে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশঙ্কা করেছেন অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে বড় কোন রোগের পূর্বাভাস। তাই এমনটা হলে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

▪️ কিভাবে বুঝবেন অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে?

গ্রীষ্মকালে শরীরে ঘাম হতেই পারে; এতে খুব একটা দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে হঠাৎ করে শরীরে যদি ঘামের পরিমাণ বেশি হতে শুরু করে তাহলে একটা চিন্তার কারণ রয়েছে। আর এই লক্ষণ অবশ্যই কোনো শারীরিক অসুস্থতার পূর্বাভাস বলে মনে করা হচ্ছে।

▪️ এর পিছনে যে কারণ গুলি রয়েছে:-

১) সাধারণভাবে শরীরে মেটাবলিজম রেটের উপর নির্ভর করে ঘামের তারতম্য। কারো শরীরে যদি মেটাবলিজমের পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে তার বেশি ঘাম হয়। তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে ঘাম হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

২) হঠাৎ করে যদি অতিরিক্ত ঘাম হতে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। অনেক সময় দেখা যায়, হার্টের কোন সমস্যা থাকলে সেই রোগীর শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হতে।

৩) কোন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া রোগীর শরীরে যদি শর্করার পরিমাণ কমে যেতে থাকে তাহলে তার ঘামের পরিমাণ বেশি হবে।

৪) হঠাৎ করে কোনো রোগীর যদি ব্লাড প্রেসার হঠাৎ বেড়ে যায় তাহলে তিনি অতিরিক্ত ঘাম শুরু করেন।

৫) অনেক সময় দেখা দিয়েছে যে অতিরিক্ত উদ্বেগের কারণ এই ঘাম হয়। কারণ এটি উদ্বেগ হরমোনের ভারসাম্যকে ব্যাহত করে। যারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তাদেরও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।

৬) মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় মনোপজের সময় অতিরিক্ত ঘাম দেখা যায়।

৭) কোন ব্যক্তির শরীরে যদি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে এমনটাও হতে পারে বলে জানা গেছে।

▪️ হঠাৎ ঘাম হলে করনীয় কি কি:-

আমরা সকলেই জানি যে শরীরে ঘামের সাথে সাথে সোডিয়াম, পটাসিয়াম বাই-কার্বনেট বেরিয়ে যায় এর ফলে আমরা দুর্বল হয়ে পড়ি। তাই জলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস, নুন ও চিনি মিশিয়ে শরবত করে খেলে ভালো হয়।

এছাড়াও গরমের সময় দইয়ের ঘোল কিংবা ডাবের জল খেতে পারেন। কোল্ড্রিংসের পরিবর্তে সতেজ কোন রসালো ফলের জুস বানিয়ে খান।

এর পাশাপাশি থাইরয়েড রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত। সেইসাথে আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন ব্রকলি, রেড মিট, সাদা পেঁয়াজ খাবার লবণ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও চা-কফি কম খেতে হবে।

Related News