তারুণ্য ধরে রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবার মানে হলো টাটকা শাকসবজি, ফলমূল এবং হোল গ্রেইন খাবারগুলো। কিছু খাবার যে শরীর থেকে তারুণ্য কেড়ে নেয়। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে আপনার চেহারায় পরিবর্তন আসতে পারে। তারুণ্য ধরে রাখতে হলে কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন-
১) ক্যান্ডি বার
ক্যান্ডি পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। অনেকে ক্যান্ডির লোভ সামলাতে পারেন না। কিন্তু, কী কারণে এসব ক্যান্ডি ত্বকের ক্ষতি করে? এ জন্য আপনার জানতে হবে ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন নামের দুইটি প্রোটিনের কথা। এই দুইটি প্রোটিন ত্বককে সুস্থ ও তরুণ রাখে । এই প্রোটিনগুলোর কাজে বাঁধা দেয় চিনি। এ কারণেই বেশি চিনি খাওয়াটা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
২) পোড়া মাংস
কাবাব, বার্বিকিউ, গ্রিল করা মাংসের ওপরে একটা পোড়া অংশ থাকে। এই পোড়া অংশটা আসলে ক্ষতিকর কিনা? পোড়া মাংসে থাকে এমন কিছু হাইড্রোকার্বন যা শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন বাড়ায়। একই সাথে ত্বকের কোলাজেন ভেঙে ফেলে। কাবাব খাওয়ার আগে পোড়া অংশটি ফেলে দিন। না হলে শরীরে ক্ষতি অনিবার্য।
৩) প্রক্রিয়াজাত শর্করা
শর্করা হজম হয়ে তৈরি করে চিনি। এরপর তা ত্বকের ইলাস্টিন এবং কোলাজেনের কাজে বাধা দেয়। সব শর্করাই খারাপ নয়। হোল গ্রেইন, ফলমূল এবং সবজি খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। তবে বাদ দেওয়া উচিত সাদা পাউরুটি, প্যাস্ট্রি এবং ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল।
৪) মার্জারিন
মাখনের এই জনপ্রিয় বিকল্পটি আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। ২০০১ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিয়মিত মার্জারিন খান তাদের চেহারায় বলিরেখা বেশি পড়ে। সম্ভবত মার্জারিনে বিশেষ এক ধরণের ক্ষতিকর ফ্যাট থাকায় এ সমস্যাটি দেখা যায়।
৫) লবণাক্ত খাবার
লবণে ভরপুর চিপস, চানাচুর, ফ্রাই এসব হরহামেশাই খাই আমরা। এগুলো ত্বককে শুষ্ক করে দেবার জন্য যথেষ্ট। কারণ এসব খাবারে থাকা লবণ শরীর থেকে জল শুষে নেয়। ত্বকের লাবণ্য চলে গিয়ে রুক্ষ শুষ্ক ভাব চলে আসে।
৬) কফি
সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকে কফি পান করেন। তা করুন, কিন্তু এর পাশাপাশি জল পান করতে ভুলবেন না। ক্যাফেইন ত্বককে ডিহাইড্রেট করে ফেলতে পারে, এতে ত্বকের বলিরেখা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এতে দুধ ও চিনি যোগ করাটা আরও বেশি ক্ষতি করে।
৭) খুব ঝাল খাবার
অনেকের ত্বকেই লালচে বা কালচে ছোপ ছোপ থাকে। অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়াটা এসব দাগ আরও স্পষ্ট করে তোলে।