সাধারণত প্রতি দিন রাতে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম স্বাভাবিক। দিনে রাতে ঘুম মিলিয়ে নয়-দশ ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুমোলে তা অতিরিক্ত ঘুম। কম ঘুম বা অনিদ্রার মতো অতিরিক্ত ঘুমও শারীরিক কিছু সমস্যাকে নির্দেশ করতে পারে। থাইরয়েড, ডিপ্রেশন, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণেও বেশি ঘুম হয়। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের প্রভাবে বা দীর্ঘদিন ধরে একটানা মানসিক বা শারীরিক ক্লান্তি হলেও, আবার কখনও শুধুমাত্র অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণেও অনেকের বেশি ঘুম হয়।
তাই এমন হলে আগে তার কারণটা খুঁজে বের করতে হবে। সমস্যা থাকলে সারাতে হবে। অভ্যাস বা জীবনযাত্রার কারণে হলে তা সংশোধন করতে হবে। ভাবছেন কী ভাবে বেশি ঘুমোনো বন্ধ করবেন? যদি কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকে, তা হলে এই পরামর্শগুলি মেনে দেখতে পারেন।
১। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন
চা-কফি বেশি খাওয়ার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন, ঘুমোনোর আগে তো একেবারেই খাবেন না। ঘুমের আগে অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় খাবেন না, এ সবে ঘুম ঘুম ভাব হলেও আসলে ঘুম ভালো হয় না। তাই অ্যালকোহলও বাদ দিন। কিছু পানীয় খেতে ইচ্ছা হলে হার্বাল চা বা হালকা গরম দুধ খান। ঘুমোনোর আগে কখনও ব্যায়াম করবেন না।
২। ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে চলুন
প্রতি দিনের ঘুমের সময়টা এক রাখুন। রাতে শোওয়া ও সকালে ঘুম থেকে ওঠা এক সময়ে করুন। নিয়মিত এটা বেশ কয়েক দিন করলে অভ্যাস হয়ে যাবে, ঘুমও নির্দিষ্ট সময়েই আসবে। এই নিয়মটা সপ্তাহান্তে ও ছুটির দিনেও মেনে চলুন।
৩। দুপুরের ঘুম বাদ
দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমের অভ্যাস অনেকেরই। কিন্তু এই ঘুমই রাতের ঘুম নষ্ট করে দেয় অনেকেরই। অসুস্থতার কারণে ঘুম আলাদা কথা, শারীরিক ভাবে সুস্থ হলে দুপুর না ঘুমোনোই ভালো। ওই সময়ে নিজেকে কিছু কাজে ব্যস্ত রাখুন যাতে ঘুম না আসে।
৪। ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ
ঘুমোনোর জায়গাটা পরিষ্কার ও আরামদায়ক হলে ভালো। ঘর অন্ধকার ও সময় উপযোগী রাখুন। অর্থাৎ গরমকালে ঠান্ডা ও শীতকালে গরম। বালিশ তোষক লেপ কম্বল ইত্যাদি যদি অস্বস্তির কারণ হয় তা হলে বদলে নিন।
৫। স্লিপ ডায়েরি
প্রতি দিন কখন কেমন ঘুমোচ্ছেন, শারীরিক কোনো সমস্যা কখনও হচ্ছে কিনা, কী কী অসুবিধে হচ্ছে, কখন কী খাচ্ছেন, সারা দিনের রুটিন সবই লিখুন। সব নিয়ম মেনেও রাতের ঘুম বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, সেই সময় এই ডায়েরি অবশ্যই সাহায্য করবে।