হার্ট অ্যাটাক heart attack এক নীরব ঘাতক। যে কেউ যেকোনো সময় এর শিকার হতে পারেন। শরীরচর্চা না করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ ও জীবনযাপনে অনিয়ম হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।এর লক্ষণগুলো জানা থাকলে একটি জীবন হয়তো বাঁচিয়ে দেওয়া সম্ভব। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কয়েকটি লক্ষণের মধ্যে রয়েছে বুক ভার হয়ে আসা, পেটের ওপরের অংশে অসহনীয় ব্যথা অনুভব করা, বাঁ হাত ব্যথা, চোয়াল ও ঘাড় ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট।
এই লক্ষণগুলো টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিকটস্থ কোনো হাসপাতালে যাওয়া এবং ইসিজি করা প্রয়োজন। প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়, হার্ট অ্যাটাকের এসব লক্ষণ দেখা যাওয়ার পরও বিষয়টিকে এড়িয়ে যান অনেকে।কিন্তু হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াটা খুব জরুরি।হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও ঘাম হওয়া। বুকে প্রচণ্ড চাপও অনুভব করতে পারেন আপনি।লক্ষণগুলো দেখা গেলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
প্রতি বছর সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ হার্ট অ্যাটাক বা হৃদযন্ত্রের সমস্যায় মারা যান। শরীরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদযন্ত্র। বুকের মাঝে ধুকপুক করেছে বলে আমরা সকলে বেঁচে থাকি। হার্ট যদি কোনো কারণে অসুস্থ হয় তবে তা নানা সংকেত দিয়ে আমাদের জানান দেয়। অনেক সময় আমরা সাধারণ কোনও রোগ ভেবে তা উপেক্ষা করি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়। চিকিত্সকদের মতে, যদি হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে চিকিত্সা শুরু করা যায়, তবে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী বেঁচে যান।
জেনে নেয়া যাক-
১. অস্বাভাবিক রকমের শারীরিক দুর্বলতা: রক্তপ্রবাহ কমে গেলে এবং রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে এমনটা হয়। রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোতে চর্বি জমে বাধা সৃষ্টি করলে এবং মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়লে হৃদরোগের প্রধানতম এই লক্ষণটি দেখা দেয়।
২. ঝিমুনি: দেহে রক্তের প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনিও দেখা দেয়। মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনির সৃষ্টি হয়।
৩. ঠাণ্ডা ঘাম: রক্তপ্রবাহ কমে গেলে দেহে ঘাম ঝরলে স্যাঁতসেতে ও ঠাণ্ডা ভাব অনুভূত হবে।
৪. বুক ব্যথা: বুক, বাহু, পিঠ এবং কাঁধে ব্যাথা অনুভূত হলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বুকে ব্যথা এবং সংকোচন হৃৎপিণ্ডের অসুস্থতার একটি বড় লক্ষণ।
৫. শ্বাসকষ্ট: ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন এবং রক্ত সরবরাহ না হলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। হার্টের সমস্যা থাকলে ফুসফুসে রক্ত চলাচল কমে যায়। আর শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস ছোট হয়ে আসার মতো সমস্যা দেখা যায়।
৬. ঠাণ্ডা বা ফ্লু: হার্ট অ্যাটাকের শিকার অনেককেই এক মাস আগে থেকে ঠাণ্ডা-সর্দি বা ফ্লু-তে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।
৭. বমি, বদহজম, তলপেটে ব্যথা: বমিভাব, বদহজম, বুক হৃৎপিণ্ডে জ্বালাপোড়া করা বা তলপেটে ব্যথাও অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। সুতরাং এই লক্ষণগুলো দেখা গেলেও হৃদরোগের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।