একসময় রানাঘাট স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে বসে বসে গান গেয়ে ভিক্ষা করতেন। সামাজিক মাধ্যমে দৌলতে তার গান পৌঁছে যায় আরব সাগরের পাড়ে। সেখানে সংগীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়া তার গান শুনে মুম্বইতে ডাক পাঠান রানু মন্ডলকে। কিন্তু মাত্র দুটি গান গেয়ে ফের রানাঘাটে ফিরে আসেন রানু। বরাবর সোশ্যাল মিডিয়ায় বেফাঁস মন্তব্য করে হাসির খোরাক হয়ে থাকেন তিনি। এবার রেডিও দেখে বললেন ওখানে আমার গান রাখার যোগ্য নয়। ওরা আমার গানের মর্ম বুঝবে না।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তার পরিচিতি। তবে বলিউডে দুটি গান গেয়ে আবার তাকে ফিরতে হয় রানাঘাটে। কারণ হিসেবে রানু জানিয়েছিলেন ওখানে তার যথাযোগ্য সম্মান নেই। এরপর বহু ইউটিউবার ব্লগাররা রানু মন্ডলের বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন তার ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য। গান না গাইলেও প্রচারের আলোকে থেকেছেন রানু। এবার তার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন দু’জন যুবক।তারা রানুর জন্য কিছু খাবার নিয়ে এসেছেন। কিছু ফাস্টফুড কোকাকোলা এবং পাউরুটি। পরনে নাইটি এবং একটি টি-শার্ট পড়ে অগোছালো রানু এসে উপস্থিত হয়েছেন। তাকে পাউরুটি দিতেই ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন বলেছেন ফ্রেশ নয়
এদিকে আবার একটি রেডিও দেখিয়ে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় ওখানে তার গান কেন বাজে না। রানু স্পষ্ট জবাব দেন ওরা আমার গান রাখার যোগ্য নয়। রানুর এহেন মন্তব্য শুনে হেসে খুন নেটিজেনরা। কেউ কেউ আবার বলছেন উনি পাগলা বুড়ি। আসলে ওনার মস্তিষ্ক বিকৃতি তাই যা ইচ্ছে কথা বলেন। এমনকি রেডিও সম্পর্কে কোন ধারণা নেই রানুর। অবিলম্বে এই বিপর্যস্ত মহিলাকে পাগলা গারদে পাঠানো উচিত বলেও নিধান দিয়েছেন নেটিজেনরা।
যদিও এসব কথা খুব একটা গায়ে মাখেন না রানু। তার পতনের মূল কারণ তার অহংকার এমনটাও দাবি করেছেন অনেকেই। নানান রকম আলটপকা মন্তব্য করে মানুষকে বিনোদন দান করেন রানু মন্ডল। সেই সঙ্গে এক পেয়ার কা নাগমা হে গানের এক কলি গেয়ে ফেললেন।