কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের কিছু উপায় জেনেনিন এক্ষুনি

Written by News Desk

Published on:

কোলোরেক্টাল ক্যান্সার মানে হল কোলোন বা মলাশয় এবং রেকটাম বা পায়ুপথের ক্যান্সার। প্রতিবছর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বিভিন্ন ক্যান্সার রোগের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার। মানুষের অন্ত্রের বড় একটি ক্যান্সার এটি। সাধারণত ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের পরে গিয়ে এই ক্যান্সার হয়। তবে ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তরুণদের মধ্যেও এই ক্যন্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে। বর্তমানে ৫০ বছরের কম বয়সী যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন।

উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ, লাল মাংস এবং উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট, অতিরিক্ত মদপান, সিগারেটের ধূমপান, বেশিক্ষণ শুয়ে-বসে থেকে জীবনযাপন, স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

পায়খানার সঙ্গে রক্ত বা শ্লেষ্মা যাওয়া, অজানা কারণে অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তনের সঙ্গে দীর্ঘামেয়াদি ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধা কমে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, অত্যধিক গ্যাস, পেটে খিঁচুনি এবং পেটে ব্যথা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের কয়েকটি লক্ষণ।

একজন মেডিকেল পেশাদারের মাধ্যমে শারীরিক পরীক্ষা, পেটের ইমেজিং (আল্ট্রাসনোগ্রাফি, সিটি স্ক্যান বা এমআরআই স্ক্যান), সিরাম সিইএ লেভেল, কোলনোস্কোপি, মল পরীক্ষা এবং বায়োপসির সাহায্যে এই ক্যান্সার নির্ণয় করা যায়।

প্রাথমিক পর্যায়ে সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির সমন্বয়ে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু খারাপ পর্যায়ে চলে গেলে কেমোথেরাপির সঙ্গে টার্গেটেড থেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করতে হয়। যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খারাপ পর্যায়ে গেলেই উপসর্গগুলো দেখা দেয়, তাই সময়মত স্ক্রীনিং এবং রোগ নির্ণয় করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা লক্ষণ নেই এমন ব্যক্তিদেরও স্ক্রিনিং করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ফেকাল অকাল্ট ব্লাড টেস্ট (এফওবিটি), ফেকাল ইমিউনোকেমিক্যাল টেস্ট (এফআইটি) এবং কোলনোস্কোপি হল এই রোগ স্ক্রীনিং এর জন্য প্রধান কয়েকটি পদ্ধতি।

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৫০ বছর বয়স থেকেই নিয়মিত বিরতিতে মল পরীক্ষা এবং কোলনোস্কোপি স্ক্রীনিং করা উচিত। যাদের পারিবারিক বা বংশগতভাবে এই রোগের ইতিহাস আছে তাদের আরও আগেই এই রোগের জন্য পরীক্ষা করানো উচিৎ। তাহলে প্রাথমিক পর্যায়েই এই ক্যান্সার সনাক্ত করা সম্ভব। আর প্রাথমিক পর্যায়েই এই ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে অনেক সহজেই এর চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়।

Related News