ব্যস্ত জীবনে শরীরচর্চায় খুব কমই সময় দেওয়া হয়। এই অভ্যাস আমাদের শরীরের জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
যারা নিয়মিত জিমে যেতে পারেন না তারা রাতের খাবারের পর একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। রাতে খাওয়ার পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাঁটাহাঁটি করা প্রয়োজন; এ কারণে এই দুইয়ের মাঝে সময়ের পর্যাপ্ত ব্যবধান থাকা রাখতে হবে।
রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
হজমের উন্নতি ঘটায়: রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে হজমের উন্নতি ঘটায় এবং বমি বমি ভাব কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাকস্থলী জনিত অন্যান্য সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়।
দ্রুত বিপাকে সহায়ক: খাওয়ার পর দ্রুত বিছানায় না গিয়ে হাঁটাহাঁটি করুন। এটি খাবার দ্রুত বিপাকের ক্ষেত্রে সহজ উপায়। হাঁটাহাঁটি করলে ক্যালরি দ্রুত পোড়াবে এবং শারীরিক গঠন ঠিক রাখতে সহায়তা করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রাতে খাওয়ার পর হাঁটলে হজমক্রিয়ার উন্নতি ঘটায় এবং শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে। শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর ফলে অনেক রোগই আপনার থেকে দূরে থাকবে।
রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: খাওয়ার ৩০ মিনিট পরই রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। আপনি যদি রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করেন তবে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ক্ষুধা কমায়: অনেক সময় ভরপেট খাওয়ার পরও মুখরোচক কিছু খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। এ ক্ষেত্রে রাতের খাবার খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করবেন। মধ্যরাতে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার গ্রহণ অস্বাস্থ্যকর এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অন্তরায়। তাই রাতের খাবার খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে দীর্ঘক্ষণ পেট তৃপ্ত থাকবে এবং রাতে মুখরোচক কোনো কিছু খাওয়ার প্রবণতা কমাবে।
ভালো ঘুমে সহায়ক: রাতের খাওয়ার হাঁটাহাঁটি করলে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যেরও উপকার পাওয়া যায়। অনেকের রাতে সহজে ঘুম হয় না; প্রতি রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে খুব দ্রুতই এ সমস্যা দূর হবে। হাঁটাহাঁটি করলে শরীর এবং মন শান্ত রাখতে সহায়তা করে। ফলে আপনি দ্রুত ঘুমিয়ে পড়বেন।
বিষণ্নতা: হাঁটাহাঁটি করলে মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং শরীরে এনডারফিনস নামক হরমোন নিঃসৃত করে। এই হরমোনের কারণে আপনার মেজাজ ফুরফুরে থাকে। মানে রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে আপনার মন ভালো থাকবে এবং হতাশা প্রতিরোধ করবে।