প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কফি পান করলে যা যা পরিবর্তন ঘটে, দেখেনিন

Written by News Desk

Published on:

ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে ক্যাফেইন পড়লে মেজাজের ওঠা-নামার সম্ভাবনা বাড়ে।

শরীর মন চাঙা করতে পানীয় হিসেবে কফির জনপ্রিয়তা বেশ। আর যারা কফি প্রেমী তাদের জন্য কথাই নেই।

তবে ঘুম থেকে উঠেই কোনো কিছু না খেয়ে কফি পানের রয়েছে একটি মাত্র পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। আর তা হল কফিতে থাকা ক্যাফেইনের সঙ্গে কর্টিসোল হরমোনের বিক্রিয়া।

এরফলে মন মেজাজের পরিবর্তন ঘটতে পারে দ্রুত।

হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে ইটদিস ডটকম জানায়, অনেকেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পরই কফি পান করতে অভ্যস্ত। তবে বেশ কয়েকজন কফি প্রেমীদের অভিজ্ঞতা অনুসারে, কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর পান করলে উদ্বেগ ও ‘মুড সুয়িং’ নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে।

আর সকালে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তিও যোগায়।

প্রতিবেদনে এর কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয় এভাবে, কফিতে থাকা ক্যাফেইনের সঙ্গে কর্টিসল হরমোনের সংঘর্ষের কারণে দেহ-মনে উদ্বেগ জাগাতে পারে। কারণ কর্টিসলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ক্যাফেইন।

মানসিক চাপের কারণে কর্টিসোল হরমোন নিঃসরিত হয়।

তবে কর্টিসোল হরমোন ও অ্যাড্রিনালিন বা বৃক্করসের সঙ্গে মিলিত হয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠার ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শক্তি যোগায় ও চনমনে ভাব রাখে।

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এটা দেহকে প্রাকৃতিকভাবে সচল করতে সহায়তা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ এবং ‘দ্য বিটার পিরিয়ড ফুড সলিউশন’ এর লেখক ট্রেসি লকউড বেকারম্যানের মতে, “কফি পান করার জন্য আরও একটি আদর্শ সময় রয়েছে; আর তা হল এই প্রভাব শেষ হওয়ার পরে কফি পান করা।”

বেকারম্যানের মতে, “ক্যাফেইন পরে গ্রহণ করলে কর্টিসোল বাড়ার কিছু বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। আর এই দুই জিনিস মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে যাতে শরীরে নেতিবাচক যৌগিক প্রভাব না ফেলে সে চেষ্টাই করতে হবে।”

তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, ঘুম থেকে ওঠার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত কর্টিসলের মাত্রা বেশি থাকে। তাই ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টা পরে কফি পান করা ভালো বলে মনে করেন তিনি।

তার মতে, “কর্টিসোল নিঃসরণ কমতে সময় দেওয়া প্রয়োজন। তারপর কফির স্বাদ গ্রহণ করা উচিত।”

তবে ঘুম থেকে উঠেই যদি কফি পানের জন্য অপেক্ষা করতে মন না চায় তবে আগে পর্যাপ্ত জল পান করা প্রয়োজন। কারণ ঘুমন্ত অবস্থায় শরীর থেকে প্রায় এক লিটারের মতো জল হারায়। আর কফি পান শরীরে জল শূন্যতা বাড়ায়।

Related News