লিভার ভালো রাখতে আর ওষুধ নয়, পাতে রাখুন এই খাবারগুলো! অবশ্যই জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ লিভার। শরীর সুস্থ রাখতে লিভারের ভূমিকা অনেক। রক্ত পরিশোধন, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া, হজমের জন্য পিত্ত উৎপন্ন করা, শরীরে ভিটামিন এ, ডি, ইসহ বিভিন্ন উপাদান ধরে রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে লিভার।

তবে যে কোনো অঙ্গেরই সহনীয় একটি মাত্রা আছে। অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়া, ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল-এর মাত্রা কমে যাওয়া এবং খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল-এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কার্বোহাইড্রেট ও চর্বির বিপাকে সমস্যার কারণে লিভারে ফ্যাট জমে।

এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে কিছু খাদ্য গ্রহণ ও বর্জনের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাকে কমিয়ে আনা সম্ভব। আজকের ফিচারে জানুন লিভার ভালো রাখতে কোন খাবার খাবেন কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন-

যা খাবেন

> কফি, গ্রিন টি- সারাদিনে দু’কাপ চিনি ছাড়া যেকোনও একটি পান করলে এদের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের ক্ষতিকারক এনজাইমের মাত্রা নষ্ট করে ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা কমায়।

> বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গড়ে ১৫ সপ্তাহ নিয়মিতভাবে রসুন খেলে লিভারে ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। ফলে ফ্যাটি লিভার কন্ডিশনের মাত্রা কম হয় ও লিভার এনজাইমের মাত্রার ব্যালান্স থাকে।

> সয়াবিন ও সয়াজাত অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যে ‘কনগ্লাইসেনিন’ নামক প্রোটিন থাকে, যা ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করে।

> জটিল শর্করা ও ওটস অর্থাৎ ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য লিভার ও পেটের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। ওটসের বদলে ডালিয়া, ব্রাউন রাইস, হোল হুইট আটাও খাওয়া যেতে পারে।

> সবুজ শাকসবজি, পেঁপে ও যেকোনও লেবু ফাইবারযুক্ত ও কম ফ্যাটযুক্ত হয়। এগুলো ওজন কমাতে উপকারী। ব্রোকোলি, কাঁচা হলুদ আরও উপকারী, কারণ এগুলো লিভার সেলে ফ্যাট জমতে দেয় না।

যা খাবেন না

লিভার ভালো রাখতে সঠিক খাদ্য গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে কিছু খাদ্য বর্জনেরও প্রয়োজন আছে। যেমন- সহজ শর্করা কমিয়ে দিতে হবে।

সফট ড্রিঙ্ক, চকোলেট, আইসক্রিম, অ্যালকোহল, বেকারির খাবার, তেলেভাজা খাবার, কাঁচা লবণ, রেডমিট, নারকেল, সরষেবাটা, বাটার, ঘি, চর্বিযুক্ত মাছ, অ্যাডেড সুগার ইত্যাদি বর্জনীয়।

এসব ছাড়াও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যদি সামগ্রিক ওজনের ১০% কমানো যায়, তবে ফ্যাটি লিভারের পরিমাণ ৩-৫% কমানো যায়।

Related News