আপনি সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই নিয়ম গুলি! বিস্তারিত জানতে পড়ুন

Written by News Desk

Published on:

সুস্থ থাকতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা। ভালো থাকার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সরাসরি সম্পর্কিত এবং এ কথাও প্রমাণিত সত্য, আপনি যা শরীরকে দেবেন, শরীরও সেই মতোই রিঅ্যাক্ট করবে। সুতরাং মনের শান্তির জন্য যদি রাতবিরাতে ফ্রিজ খুলে মিষ্টি কিংবা আইসক্রিমের টাব হাতে তুলে নেন বা স্ট্রেস কমাতে ধূমপান বেছে নেন, শরীরের ভবিষ্যতের জন্য কিন্তু সেগুলোর একটাও সুসংবাদ নয়। আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের টক্সিন সহ্য করারও একটা সীমা রয়েছে। ক্রমাগত সেই সহ্যক্ষমতার পরীক্ষা নিতে থাকলে ধীরে ধীরে শরীরের জরুরি অঙ্গগুলো কার্যক্ষমতা হারায়। হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা বাড়ে। প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে এ ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে যথেষ্ট ধৈর্য এবং সংযম প্রয়োজন।

সুস্থ থাকতে অন্ততপক্ষে মেনে চলুন এই নিয়মগুলো-

– সারাদিনে যা খাচ্ছেন, তার মধ্যে টাটকা শাকসবজি এবং ফলের পরিমাণ যতটা সম্ভব বেশি রাখুন। অন্যদিকে ক্যানড এবং ফ্রোজেন খাবার যতটা সম্ভব কম খান।

– টাটকা ফল এবং সবজির রস নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। আমাদের লিভার ব্লাড পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে। লিভার ভালো রাখতে এবং টক্সিন ফ্লাশ আউট করতে প্রতিদিন বিটের রস খেতে পারেন। এটি পেট পরিস্কার রাখতেও সাহায্য করবে। একইভাবে কিডনি ভালো রাখবে তরমুজের রস। বাঁধাকপি ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে ভীষণ উপকারী। অন্যদিকে সেলেরি খেলে কমবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। হজমশক্তি বাড়াতে খেতে পারেন আনারস।

– শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে ঘন ঘন সংক্রমণে ভুগতে পারেন।

শারীরিক অন্যান্য কাজেও জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নিয়মিত জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খান। সানফ্লাওয়ার সিডস, পালংশাক, সয়াবিন, সি ফুড, মাশরুম, গোটা ডাল, বাদাম, ডিম, তিল, ফ্ল্যাক্সসিড, আলসিসিড, আমন্ড, চেডার চিজ, দুধ ইত্যাদি জিঙ্কের ভালো উৎস।।

-প্রতিদিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস খেতে পারলে ভালো।

– অতিরিক্ত চিন্তা, ভয়, নেতিবাচক ভাবনা ঝেড়ে ফেলে রিল্যাক্সড থাকার চেষ্টা করুন। মনের সরাসরি প্রভাব পড়ে শরীরে। এই মুহূর্তে সারাবিশ্বই অতিমারির চিন্তায় ভীত। তবে প্রতিনিয়ত যদি সেই সংক্রান্ত খারাপ খবর শুনতে থাকেন তাহলে শরীরের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি।

– ওজন যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে, সবার আগে ওজন কমান।

– খাদ্যাভ্যাসে রুটিন গড়ে তুলুন। বেশি রাতে খাবার খাওয়া একেবারেই ভালো না। চেষ্টা করুন সন্ধ্যা ৭টার পর আর কোনো ভারী মিল না খেতে। ডিনারও এর আগেই সেরে ফেললে ভালো।

Related News