আপনার যে পাঁচটি কারণে ভুঁড়ি কমে না! জেনেনিন

বাড়তি ভুঁড়ি বয়ে বেড়ানো কারও জন্যই স্বস্তিকর নয়। ভুঁড়ি বেড়ে গেলে তা যেমন সৌন্দর্য নষ্ট করে, তেমনই নানা অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সবাই চান মেদ ঝরিয়ে ছিপছিপে হতে। অনেকে মেদ ঝরানোর নানা চেষ্টা করেও সফল হতে পারছেন না। নানা রকম নিয়ম মেনে চলেও দিনশেষে ফল শূন্য।

ডায়েট কন্ট্রোল করে, নিয়মিত শরীরচর্চা করে যাচ্ছেন ওজন ও ভুঁড়ি কমানোর জন্য। এক্ষেত্রে ওজন খানিকটা কমলেও ভুঁড়ি কমানো মুশকিল হয়ে যায় অনেকের জন্য। তখন দেখতে আরও বেশি খারাপ লাগে। পুরো শরীরের মধ্যে পেটের মেদ কমানো সবচেয়ে কঠিন। আপনার প্রচেষ্টার মধ্যেই থাকতে পারে এমনকিছু ভুল, যার কারণে ভুঁড়ি কমে না সহজে।

ভুঁড়ি কমানোর প্রচেষ্টা হিসেবে বেশিরভাগ মানুষই খাবারের তালিকায় অনেক পরিবর্তন আনেন। কেটেছেঁটে ফেলেন অনেক খাবার। এর ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মেলে না। পেটে মেদ কমানোর জন্য শরীরে বাড়তি ক্যালরি জমতে না দেওয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যেন পুষ্টির ঘাটতি না হয়। ডায়েট থেকে মাইক্রো এবং ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।

বেশি ফাস্টফুড

ফাস্টফুড শরীরের জন্য উপকারী নয় একথা কম-বেশি সবারই জানা। তবু মুখরোচক বলে লোভ সামলে রাখা মুশকিল হয়ে যায়। মাঝেমাঝে একটু-আধটু খেলে খুব বেশি সমস্যা না হলেও সমস্যা দেখা দেয় নিয়মিত খেলে। অনেকে আছেন যারা ফাস্টফুড ছাড়া চলতেই পারেন না। ক্র্যাকার্স, পাউরুটি, চিপস, বার্গার, পিজ্জা, পরিশোধিত চিনি ইত্যাদি ওজন বাড়ানোর জন্য দায়ী। এসব খাবার নিয়মিত খেলে ভুঁড়ি কমানোর আশা না করাই ভালো।

প্রয়োজন বুঝে ব্যায়াম না করা

ওজন কমানোর জন্য অনেকে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। কিন্তু কতটুকু ব্যায়াম প্রয়োজন তা অনেকেই জানেন না। এটিও হতে পারে ভুঁড়ি না কমার কারণ। তাই ব্যায়াম শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে শুরু করা ভালো। আপনার শরীরের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন কতটুকু ব্যায়াম দরকার তা তিনি আপনাকে জানাতে পারবেন।

মানসিক চাপ থাকলে

যারা সারাক্ষণ মানসিক চাপ নিয়ে থাকেন তাদের ভুঁড়ি সহজে কমে না। তাই ভুঁড়ি কমাতে চাইলে সবার আগে দূর করুন মানসিক চাপ। বিভিন্ন গবেষণায় এটি প্রমানিত হয়েছে যে, উদ্বেগ ও হতাশা থাকলে শরীরে করটিসোল হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। আমাদের শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এই হরমোন। এর কারণে ক্যালোরি বার্ন কম হয়, ফলে ভুঁড়ি বাড়তে থাকে।

অনিয়মিত ঘুম

সুস্থ থাকার জন্য ঘুমের রুটিন মেনে চলা জরুরি। একেকদিন একেক সময়ে ঘুমানো, দেরিতে ঘুমানো বা রাত জেগে থাকা হতে পারে ভুঁড়ি বৃদ্ধির কারণ। প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। যারা পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের ভুঁড়ি বাড়তে থাকে। তাই ভুঁড়ি কমাতে চাইলে প্রয়োজনীয় ঘুমের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

মদ্যপান করা

মদ্যপান শরীরের জন্য উপকারী নয়। বরং এটি অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারও এই বদ অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত ত্যাগ করা উচিত। এটি ভুঁড়ি বৃদ্ধিরও অন্যতম কারণ। মদ্যপান করলে তা বিপাকে সমস্যা করে। এতে পেটের মেদ ঝরতে পারে না। ফলস্বরূপ জমতে থাক ভুঁড়ি।

News Desk

Recent Posts

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

6 hours ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

13 hours ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

14 hours ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

14 hours ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

1 day ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

1 day ago