ঘুমোলেই দুঃস্বপ্ন তাহলে আপনার কি কি করণীয়,দেখেনিন একনজরে

রাতে ঘুমোলেই কি খারাপ স্বপ্ন দেখেন? দুঃস্বপ্ন দেখে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার ভয়ে ঘুমটাই অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে? আধুনিক লাইফস্টাইলের কারণে অনেকেই এখন এই সমস্যায় ভুগছেন। বড় কোনও কারণ নয়, যার বীজ লুকিয়ে রয়েছে ছোট ছোট সমস্যা, কারণের মধ্যেই। ঠিক কেন এই সমস্যা হচ্ছে তা জানতে পারলেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন। জেনে নিন কেন আমরা দুঃস্বপ্ন দেখি।

ডিজঅর্ডার: উত্কণ্ঠা, অবসাদ, স্লিপ প্যারালিসিস, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার, স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো ডিজঅর্ডারে ভুগলে আমরা দুঃস্বপ্ন দেখি। যদি আপনি দীর্ঘদিন এই ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকেন এবং নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা থাকে তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। অনেক আধুনিক থেরাপির সাহায্যে এই সমস্যা সারিয়ে তোলা যায়।

ডিনার: ছোটবেলায় বাবা, মায়েরা আমাদের তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস করাতেন। বড় হয়ে সেই অভ্যাস আমরা অনেকেই মেনে চলি না। যখনই আমরা খাবার খাই তখনই আমাদের ডায়জেসটিভ সিস্টেম সক্রিয় হয়ে ওঠে। মেটাবলিজম রেট বেড়ে যায়। ঘুমনোর ঠিক আগে খাবার খেলে শরীর ও মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে ওঠে। ফলে টানা ঘুমে সমস্যা হয় যা অনেক সময় দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে ওঠে।

স্ট্রেস: সারাদিনের স্ট্রেস, ক্লান্তি যদি খুব বেড়ে যায় তাহলে ঘুমের সমস্যা হয়। স্ট্রেসের কারণে দুঃস্বপ্ন দেখা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। স্ট্রেস কাটাতে ঘুমনোর আগে হালকা যোগাভ্যাস করলে বা ইষদোষ্ণ জলে স্নান করলে সমস্যা দূর হবে।

ওষুধ: অনেক ওষুধ রয়েছে যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমনটা হতে পারে। সাধারণত উচ্চ-রক্তচাপ বা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ থেকে শরীরে মেটাবলিজমের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ঘুমের সমস্যা হওয়ার প্রবণতা থাকে। যদি এমনটা হয়ে থাকে আপনার ক্ষেত্রে তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ বদলান বা ডোজ কমিয়ে দিতে বলতে পারেন। ধীরে ধীরে শরীর ধাতস্থ হয়ে গেলে সমস্যাও কেটে যাবে।

ঘুমের মান: ভাল ঘুম হলে কখনই দুঃস্বপ্ন দেখবেন না। বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে দুঃস্বপ্ন দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে জোর দিতে হবে ঘুমের মান বাড়ানোর দিকে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমোন। আরামদায়ক বিছানা, অন্ধকার ঘরে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, নিকোটিনের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। সপ্তাহে ৩-৫ দিন এক্সারসাইজ করতে পারলে ভালো।

ইমেজারি রিহার্সাল ট্রিটমেন্ট: দুঃস্বপ্ন দূর করতে খুবই কার্যকর আইআরটি। অনেক থেরাপিস্ট এই পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যে দুঃস্বপ্ন বারবার দেখছেন তার শেষ বদলে দিয়ে ভাল কিছু কল্পনা করতে বলা হয়। তারপর নতুন সেই স্বপ্ন কাগজে লিখে রাখতে বলা হয়। নিয়মিত কী স্বপ্ন দেখছেন, কীভাবে কমছে দুঃস্বপ্নের প্রকোপ তা মনিটরও করা হয়। কোনও থেরাপিস্টের সাহায্যে বা নিজেও এই পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন।

News Desk

Recent Posts

ডিম ভাজা নাকি সেদ্ধ কোনটি বেশি উপকারী?

ডিম সেদ্ধ খেতে অনেকেই কমবেশি ভালবাসেন। তবে কারও কারও কাছে বেশি জনপ্রিয় ভাজা ডিম। ভেজে বা অমলেট বানিয়ে ডিম খেতেই…

2 hours ago

যে লক্ষণ দেখলে দ্রুত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করবেন

বর্তমানে ডায়াবেটিস প্রতিটি ঘরে ঘরেই দেখা দিচ্ছে। ছোট থেকে বুড়ো সবার শরীরেই বাসা বাঁধছে দীর্ঘমেয়াদী এই ব্যাধি। একবার ডায়াবেটিস ধরা…

3 hours ago

মুখের ভেতরে ঘা হয়েছে, ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?

মুখের ভেতরে ঘা হওয়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। ভিটামিন স্বল্পতার কারণেই মাউথ আলসারের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে এই সমস্যাকে…

16 hours ago

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে যেভাবে সাহায্য করে মৌরি

সকালে উঠে মৌরি ভেজানো পানি পান করে অনেকেই দিন শুরু করেন। মূলত পেট পরিষ্কার করতে এর উপর ভরসা রাখেন অনেকে।…

1 day ago

এনার্জি পেতে চা-কফির পরিবর্তে অভ্যাস করুন ৬ জিনিসের

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক না দিলে যেন শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে না।…

1 day ago

গরমে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ও প্রতিরোধে কী করবেন?

শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এরই মধ্যে। প্রায় সব ঘরেই দিন-রাতে চলছে ফ্যান বা এসি। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়…

1 day ago