ওজন কমানো নিয়ে যেমন অনেকেই চিন্তিত থাকেন। ঠিক তেমনই ওজন বাড়ানোর জন্যও অনেকেই নানা উপায় অবলম্বন করেন। দেখা যায় যারা ওজন বাড়াতে চান কিংবা যারা নিয়মিত জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন, তাদের অনেকের মনেই প্রোটিন পাউডার নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকে।
বিশেষ করে, পেশিবহুল সুঠাম চেহারা পেতে এই ধরনের পাউডার খাওয়া আবশ্যক কি না তা জানতে চান অনেকেই। কারণ দাম নেহাত কম নয় এগুলোর। কারো কারো মনে এই প্রশ্নও থাকে যে এই ধরনের পাউডার শরীরের পক্ষে আদৌ কতটা ভালো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা দেহের ওজনের সমানুপাতিক। প্রতি কিলো ওজন পিছু দৈনিক ০.৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ কারো ওজন যদি ৫০ কেজি হয় তবে তার প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। তবে যারা খেলোয়াড় এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই চাহিদা কিছুটা বেশি। তাদের দেহের প্রতি কিলো ওজনের জন্য, দৈনিক দেড় থেকে দুই গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। তবে মনে রাখতে হবে, এক জন সাধারণ মানুষ যখন জিমে ঘাম ঝরান তখন তার জন্য এই অতিরিক্ত প্রোটিনের প্রয়োজন নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত আমরা যে ধরনের খাবার নিয়মিত খাই তার মধ্যেই যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে, যেমন ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস থেকেই পাওয়া যায় ২১ গ্রাম প্রোটিন। ২০০ মিলিলিটার দুধ ও এক বাটি ডাল কিংবা একটি গোটা ডিম থেকে পাওয়া প্রোটিনের পরিমাণ যথাক্রমে ৬ ও ৭ গ্রাম। কাজেই সঠিক খাদ্যাভ্যাসই দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে যথেষ্ট।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা এও জানাচ্ছেন যে, অতিরিক্ত প্রোটিন পাউডার নানা ধরনের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এই ধরনের পাউডার দীর্ঘদিন ধরে খেলে তা কিডনি ও লিভারের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি দেখা দিতে পারে মাথা ঘোরা, ক্ষুধামান্দ্য, ডায়রিয়া কিংবা মানসিক চাপের মতো সমস্যাও। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় দ্রুত পেশি গঠন করার জন্য যে ধরনের প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করা হয় তাতে স্টেরয়েড জাতীয় উপাদান মিশ্রিত থাকে। এই স্টেরয়েড দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
পাশাপাশি মনে রাখতে হবে যেকোনো ধরনের প্রক্রিয়াজাত প্রোটিনের তুলনায় প্রাকৃতিক খাবার থেকে প্রোটিন শোষণ করা দেহের পক্ষে অনেক বেশি সহজ। কাজেই প্রোটিন পাউডার খেতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।
সবার ঘরেই অন্তত একটি করে হলেও সিলিং ফ্যান আছে। এই গরমে যাদের ঘরে এসি বা এয়ার কন্ডিশন নেই, তাদের ভরসা…
বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছেন। তবে হাসিখুশি থাকা যে শরীর ও মনের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই…
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই তাপপ্রবাহে ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই অনেকের আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়েছে। যারা এরই…
তীব্র গরমে বড়দের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে ছোটরাও। এ সময় শিশুদের কীভাবে সুস্থ রাখবেন তাই এখন বড় প্রশ্ন, প্রত্যেক মা-বাবার জন্য়।…
তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে…
কাজের ব্যস্ততা কিংবা আলস্যের কারণে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক। এই অভ্যাসের কারণেই…