ফল আর সবজির খোসা সবসুদ্ধ খেলে বেশি উপকার জানাচ্ছে চিকিৎসক

Written by News Desk

Published on:

আমরা সবাই মোটামুটি এতদিনে জেনে গিয়েছি যে রোজের খাদ্যতালিকায় অনেক বেশি বেশি করে ফল-শাকসবজি রাখা উচিত। তাতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পায়, সেই সঙ্গে পেটও ভরা থাকে অনেক বেশিক্ষণ। কিন্তু এ কথাও ঠিক, যে ফল আর সবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে কতগুলো নিয়ম মেনে চললে তবেই একমাত্র তা থেকে পূর্ণ উপকার পাবেন।

আনাজ আর ফল-মূল বাড়িতে আসার পর আপনি প্রথমে কী করেন? নিশ্চিতভাবেই ধুয়ে নেন ভালো করে? তার পর তার স্থান হয় ফ্রিজের নির্দিষ্ট খাপে, তাই তো? রান্না বা খাওয়ার আগে বের করে খোসা ছাড়িয়ে নেন নিশ্চয়ই? ভুলটা কিন্তু এই শেষ ধাপে এসেই হচ্ছে! প্রকৃতি যখন একটি ফল বা সবজি তৈরি করে, তখন তার খোসাতেও অনেক পুষ্টিগুণ ভরে দেয়। যেমন ধরুন, আপেলের টুকটুকে লাল খোসায় থাকে প্রচুর ভিটামিন এ, কে, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ক্যালশিয়াম। আলুর খোসায় থাকে ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন সি। গাজর, মুলো, বিট, কুমড়ো, পটল ইত্যাদির খোসায় নানা পুষ্টিগুণের পাশাপাশি অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও থাকে প্রচুর পরিমাণে। খাওয়া বা রান্নার আগে খোসা বাদ দিয়ে দিলে কত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হারাচ্ছেন, সেটা ভেবে দেখেছেন একবারও?

ফল আর সবজির খোসায় যে ধরনের ফাইবার মেলে, তার পোশাকি নাম ভিসকোস ফাইবার। এই ফাইবার আপনার খিদে কমিয়ে দিতে পারে। পেট যদি বেশিক্ষণ ভরা থাকে, তা হলে বার বার খাওয়ার ইচ্ছে হওয়ার কথাও নয়, তাই না? শরীরে কম ক্যালোরি ঢোকা মানে হচ্ছে আপনার ওজনও তাড়াতাড়ি কমবে। তাই আলু, বেগুন, গাজর, মুলো, বিট, শসা, আপেল, কুমড়ো ইত্যাদির খোসা বাদ দেওয়ার দরকার নেই।

তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে আজকাল যে কোনও শস্যের চাষ করতে গেলে প্রচুর কীটনাশক ব্যবহার করা হয় এবং তা খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ঢুকে নানা বিপদ ঘটাতে পারে। তাই যে কোনও ফল-সবজি খোসাসমেত খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় বাজার থেকে ফিরে বেকিং সোডা আর জল বা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট আর জলের মিশ্রণে অন্তত 20 মিনিট আনাজপাতি ডুবিয়ে রাখতে পারলে। তার পর কলের জলে ভালো করে ঘষে ধুয়ে নিন। শেষে কিচেন টাওয়েল বা ন্যাপকিন দিয়ে শুকনো করে মুছে নিন। তার পর ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা সম্ভব। তাজা শাকসবজি দিয়ে স্যালাড বানান। সেদ্ধ বা ভাপিয়েও খাওয়া যায়।

Related News