চুল পড়া রোধে যে ৫টি আয়ুর্বেদিক উপাদান ব্যবহার করবেন আপনি, দেখেনিন

Written by News Desk

Published on:

চুল পড়া সাধারণ বিষয়। তবে অত্যধিক চুল পড়লে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা আছে। চুল পড়া রোধে কেমিকেল উপাদান ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায় বেছে নিতে পারেন। কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে যেগুলো পুনরায় চুল গজাতে সাহায্য করে। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।

পাঁচটি আয়ুর্বেদিক উপাদানের কথা তুলে ধরেছে এনডিটিভি। চুল পড়া প্রতিরোধে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

কেশরাজ: এটি চুলের মহৌষধ হিসেবে পরিচিত। চুলের নানা সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী। এই ঔষধি টাক পড়া রোধ করে এবং চুল ঘন করতে সাহায্য করে। কেশরাজ দিয়ে তৈরি তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া এর পাতা পেস্ট তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।

শুকনো কেশরাজ জলে ভিজিয়ে মাথার তালুতে ঘষে লাগাতে পারেন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে।

আমলকি: চুল পড়া রোধে ঘরোয়া উপায়ের কথা উঠলে আমলকির কথা সবার আগে মাথায় আসে। আয়ুর্বেদিক এই ফলে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এটি সবসময় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত আমলকির রস পান করুন অথবা নিয়মিত আমলা অয়েল চুলে ব্যবহার করুন। এছাড়াও আমলকি ও মেহেদি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। আমলা পাউডারের সঙ্গে মেহেদি এবং টকদই মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে নিন। দুই ঘণ্টা পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আমলকি ও লেবুর রস চুলের গোড়া শক্ত করে।

নিমপাতা: চুল পড়া রোধে একটি কার্যকরী আয়ুর্বেদিক সমাধান দিতে পারে নিমপাতা। নিয়মিত নিমপাতা ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত করে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটায়। খুশকি, উকুন, রুক্ষতা বা খোসপাঁচড়া এসব সমস্যায় বেশ কার্যকরী নিমপাতা। নিমপাতা পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া জলে নিমপাতা সেদ্ধ করতে পারেন। ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিষ্কার চুল এতে ভেজাতে পারেন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহারেই কার্যকরী ফল দেখতে পাবেন।

রিঠা: আয়ুর্বেদিক এই উপাদানটি অনেক নারীই প্রাকৃতিক শ্যাম্পু হিসেবে চুলে ব্যবহার করে থাকেন। নিয়মিত রিঠা ব্যবহারে চুলের গঠন ও ঘনত্ব ঠিক তাকে। কোমল এই উপাদান নিয়মিত ব্যবহারেও চুলের প্রাকৃতিক তেল অটুট থাকে। কয়েকটি রিঠা ফল সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এগুলো সেদ্ধ করে নিন। ঠান্ডা হলে স্নানের সময় শ্যাম্পুর মতো ব্যবহার করতে পারেন। জল দিয়ে চুলে ধোয়ার পর অর্ধেক রিঠা দিয়ে ৫ মিনিট মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এরপর জলে ধুয়ে নিন। এরপর বাকি অর্ধেক আবার ব্যবহার করুন। একদিন পর পর ব্যবহার করুন এবং পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

শিকাকাই: চুলের জন্য এই ফল। জলে মেশালে ফেনা তৈরি হবে। আয়ুর্বেদিক শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য এবং চুলপড়া রোধে বেশ কার্যকরী। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল উঠে যায় না।

শিকাকাই পাউডার সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। চুল পরিষ্কারে এটি ব্যবহার করুন। রিঠার মতোই এটি চুলে ব্যবহার করুন। একদিন পর পর ব্যবহার করুন; পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

Related News