দ্রুত অ্যাসিডিটি দিকে মুক্তি দেবে এই মশলা

Written by News Desk

Published on:

অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শারীরিক রোগব্যাধি। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হলো অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক। অনেকেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। বুক জ্বালা পোড়া, বমি, ফুড পয়জনিং সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে এ থেকে।

সাধারণত বেশি ঝাল খাবার খাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, দুশ্চিন্তা, ব্যায়াম না করা বা অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে এ সমস্যাটি হতে পারে। এর থেকে রেহাই পেতে চেষ্টা করুন প্রতিদিন একই সময়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার করার। অল্প করে বারবার খান।

খাবারের মাঝে মোটামুটি তিন-চার ঘণ্টা সময়ের ব্যবধান রাখলে খাবার হজম হবে সহজে। তবে নিমিষেই অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে লবঙ্গ।

বাঙালির প্রতিটি রান্নাঘরেই এই মশলাটি পাওয়া যায়। আমাদের দেশ ছাড়াও ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পূর্ব আফ্রিকার মতো দেশগুলোর অন্যান্য খাবারের মধ্যে লবঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

মাথাব্যথা, মুখের রোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, মাইক্রোবিয়াল ইনফেকশন, সাইনাস, ফ্লু এবং সাধারণ ঠাণ্ডা ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য পরিচিত এই লবঙ্গ।

হাজার হাজার বছর ধরে অম্লতা চিকিৎসায় লবঙ্গ ব্যবহৃত হচ্ছে। লবঙ্গের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলো পেরিস্টালিসিস (পাকস্থলীতে খাবারের গতি নিয়ন্ত্রণ) বৃদ্ধি করে, লালা উৎপাদন বাড়ায়, পাচনে সহায়তা করে এবং অ্যাসিড রিফ্লেক্স বন্ধ করে। লবঙ্গ পেটের প্রদাহ কমায়। পেটের অন্যান্য রোগ যেমন বুক জ্বালা, অম্লতা এবং বদহজমেও এই লবঙ্গ উপকারী।

লবঙ্গের ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে পেট এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালিতে উৎপাদিত অতিরিক্ত অ্যাসিডের প্রভাব বন্ধ করতে সহায়তা করে। এই বৈশিষ্ট্যই গ্যাস তৈরি হতে দেয় না। একবার লবঙ্গের একটি টুকরো মুখে নিন, হালকা চিবিয়ে তার রস বের করে সেটি মুখেই রেখে দিন। আস্তে আস্তে ক্ষরিত হওয়া রস অ্যাসিডিটি কমিয়ে দেয়, অ্যাসিড রিফ্লেক্স হতে দেয় না। খাবার পরেই এক টুকরো লবঙ্গ মুখে রাখুন।

Related News