সকালে ঘুম ভেঙে আয়না দেখলে অনেক সময় মন একদম খারাপ হয়ে যায়। কারণ আর কিছু নয়, চুল। ঘুম থেকে ওঠার পর চুল অগোছালো তো বটেই; হয়ে থাকে নিস্তেজ, জটেভরা। ঘুমভাঙা ভোরে এই বিরক্তি কাটাতে ঝলমলে চুল পেতে প্রস্তুতি নিতে হবে রাতেই। এ নিয়ে রইল পাঁচ টিপস-
বেছে নিন রেশমের বালিশ
তুলা নয়, ব্যবহার করুন রেশমে তৈরি বালিশ। কারণ চুল রুক্ষ করে দেয় তুলার বালিশ; বাঁধে জট। আর রেশমের বালিশে চুলে ঘর্ষণ লাগে কম এবং বজায় থাকে চুলের প্রাকৃতিক জেল্লা। ত্বকের জন্যও আরামদায়ক রেশম। এছাড়া বলিরেখা পড়তে বাধা দেয় এটি।
বাউন্সি চুলের জন্য
বাউন্সি চুল চাইলে ‘ভলিউমাইজিং স্প্রে’ ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে চুলের গোড়ায় ভালো ব্র্যান্ডের ভলিউমাইজিং স্প্রে লাগিয়ে মাথার ওপর দিকে উঠিয়ে একটা পনিটেল করে নিন। এরপর আলগা খোপা করে চুলের কাঁটা দিয়ে আটকে নেয়া যেতে পারে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চুল খুলে হাল্কা আঁচড়ে নিলেই হলো।
চুলের মাস্ক
চুলেরও পুষ্টি প্রয়োজন। আর রাতে বিছানায় যাওয়ার আগের সময়টিই এর জন্য উপযুক্ত। কারণ রাতে পুষ্টি গ্রহণে দীর্ঘ সময় পায় চুল। বাজারে অনেক ধরনের মাস্ক পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করা যায়। চুলের জন্য ঘরেও তৈরি করা যেতে পারে মাস্ক। চুলে মাস্ক ব্যবহারের পর নিশ্চিত করতে হবে শাওয়ার ক্যাপের ব্যবহার। ঘরে মাস্ক তৈরির জন্য প্রয়োজন চার টেবিল চামচ অ্যালমন্ড মিল্ক, ডিমের কুসুম ও দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল। এসব উপকরণ মিশিয়ে নিলেই তৈরি চুলের মাস্ক। এই মাস্ক চুলে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপে ঢেকে সারা রাত রেখে পরের দিন সকালে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। ভাল ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে হবে এ মাস্ক।
ভেজা চুলে ঘুম নয়
একটু বেশি রাতে স্নান করা অনেকের অভ্যাস। ভেজা চুল নিয়ে ঘুমুলে এর প্রভাব দেখা যায় সকালে। কুঁকড়ে যায় চুল। আর এটি হতে পারে চুল ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া ভেজা চুলে সৃষ্টি হতে পারে অযাচিত সব ওয়েভ। এতে চুলের যথাযথ স্টাইল করতে সমস্যা হয়।
রাতেই ড্রাই শ্যাম্পু
সকালের পরিবর্তে রাতে ব্যবহার করা উচিত ড্রাই শ্যাম্পু। রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে এই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে তা চুল শুষে নেয়ার সময় পাবে অনেক। এতে দূর হবে চুলের নিস্তেজ ভাব।