সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। তাছাড়া যাদের ওজন বেশি, তাদের শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে ব্যায়াম করা জরুরি। তবে ব্যস্ত জীবনে সময়ের অভাবে ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না অনেকেরই। আবার বিভিন্ন কারণে ডায়েটও ঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না।
কি চিন্তায় পড়ে গেলেন? চিন্তার কিছু নেই, কারণ ব্যায়াম ছাড়াও ওজন কমানো সম্ভব। আবার অনেকের মনেই একটা ভ্রান্ত ধারণা থাকে, তা হলো কম খেয়ে ওজন কমানো যায়! কথাটি একদমই সত্য নয়।
কম খেলে ওজন কমে না, বরং এর ফলে আরো মোটা হবেন। সেই সঙ্গে বোনাস হিসেবে বাড়বে শরীরে বিষ-ব্যথাও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা না খেয়ে থাকার পরিবর্তে, যদি আপনি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেন এবং আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসে খানিকটা পরিবর্তন নিয়ে আসেন, তাহলে খুব দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমানোর কিছু জাদুকরী টিপস-
>> অতিরিক্ত খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণ মেদ জমে। বেশি খাওয়া মানেই কিন্তু বেশি ক্যালরি জমা হওয়া। আর পর পর খাবার খেতেই থাকলে সেই ক্যালরি বার্ন হয় না। ফলে শরীরে জমতে থাকে ফ্যাটের স্তর। যেখান থেকে ওবেসিটি আসতে বাধ্য। তাই বেশি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
>> বেশি খাওয়ার অভ্যেস হয়ে গেলে শরীর খিদে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারায়। অর্থাৎ কখন খিদে পাচ্ছে, কতটা খাওয়া প্রয়োজন এই অনুভূতিটাই চলে যায়। সেজন্য কিছুক্ষণ পর পর খান। এতে অহেতুক ক্ষুধা বোধ করবেন না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ক্যালরিও।
>> রুটি, সিরিয়াল এবং অন্যান্য স্টার্চ জাতীয় খাবারে যদি সামান্য পরিমানে দারুচিনি দেওয়া যায়, তবে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা বোধ করবেন না।
>> ফলের রস স্বাস্থ্যকর কিন্তু যদি গোটা ফল খান তবে আরো ভালো। চিনি মেশানো প্যাকেট ফলের রসের চেয়ে গোটা ফল খাওয়া বেশি উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ক্যালরির মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং অপ্রয়োজনীয় ওজন থেকে রক্ষা করে।
>> দোকান থেকে কোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার কিনতে গেলে বা প্যাকেট ফুড কেনার আগে সাবধানতা অবলম্বন করুন। ফ্যাটলেস লেখা থাকলেই ভরসা করবেন না। ট্রান্স ফ্যাটের কথাটা ভুললে চলবে না। সবচেয়ে ভালো প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলা।
>> ওজন অনুযায়ী আপনার শরীরে কত ক্যালরির খাবার দরকার সেই পরামর্শটুকু আগেই জেনে নিতে হবে কোনো চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুযায়ী ঠিক করতে হবে আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকা।
>> অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে হজমের সমস্যা, হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়। এছাড়াও অনিদ্রা, মাথা ধরা, পালস রেট বেড়ে যাওয়া এসব থাকেই। খেয়ে যদি বমি, গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয় তাহলে সেখান থেকে হতে পারে বড় কোনো সমস্যা। ওজন কমাতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। জল শুধু তৃষ্ণা নিবারণ করবে না, ক্ষুধাও প্রশমিত করে।
শসা শরীরের জন্য একটি ভীষণ উপকারী খাবার। তবে এটি খাওয়ার সঠিক সময় রয়েছে। নিয়ম মেনে শসা না খেলে উপকারের চেয়ে…
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যে সমস্যাটি অনেকের মধ্যেই দেখা যায়, তা হলো মূত্রের সমস্যা। মূত্রথলির সমস্যার কারণে প্রস্রাবের ধরনে কিছু বদল…
নারীদের মন বোঝা নাকি বেশ কঠিন, এমনটিই আছে কথায়। বিষয়টি কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই সত্যি বটে, কারণ নারীর মনের খবর অনেক…
অতিরিক্ত গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা বেড়ে যায়। তার মধ্যে যারা অ্যাজমার রোগী, তারা বেশি ভোগেন শ্বাসকষ্টে। গরমে ফ্যান-এসির বাতাস আর…
ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো আমলকী। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রেও এটি…
গাড়ির আওয়াজে অনেকেরই বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, তীব্র যানজট ও সেই কারণে সৃষ্ট শব্দদূষণের সঙ্গে…