মাসের নির্দিষ্ট একটি সময়ে প্রত্যেক নারীরই ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড হয়ে থাকে। এই সময় নারীদের কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- পেটে ব্যথা, কোমর ব্যথা, বমি বমি ভাব, খাবারে অরুচি, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও আরো একটি সমস্যা দেখা দেয়, আর সেটি হচ্ছে ব্রণ।
ঋতুস্রাবের দিন কয়েক আগেই মুখে ব্রণ দেখা দেয়। এই সময়ে ব্রণ কেন হয়, জানেন কী? মূলত ঋতুকালীন সময়ে ত্বক অতি মাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে যায়। তখন ব্রণের পাশাপাশি ত্বকে চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন ঋতুকালীন সময়ে চলা হরমোনচক্রে সমস্যা দেখা দিলে এই রকম ঘটে থাকে। ঋতুস্রাবের ১২ থেকে ১৩ দিন পর ডিম্বস্ফোটনের সময়ে শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়তে থাকে। তখন ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক। ফলে র্যাশ বা চুলকানি দেখা দিতে পারে। আবার যখন ঋতুস্রাব শুরু হয়, তখন ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এর কারণে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায় এবং ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা থাকলে ব্রণে হওয়ার প্রবণতা বেশি হয়।
যা করবেন
>> ওজন বেশি থাকলে ব্রণের সমস্যা বেশি হতে পারে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে এলে সমস্যা অনেক কমে যাবে।
>> ডিম্বাশয়ে সিস্টের কোনো সমস্যা থাকায় এই রকম হচ্ছে না তো? প্রয়োজনে চিকিৎসককে দেখান। তিনি ঠিকমতো পরীক্ষা করলে বিষয়টি বুঝতে পারবেন। সিস্ট থাকলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা করতে হবে।
>> ব্রণের সমস্যা মেটাতে ডায়েটের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই জরুরি। মিষ্টি, সফট ড্রিঙ্ক, ভাজাভুজি, চকলেট, ঘি, পনির, মাখন, চিজ এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পাতে রাখুন শাক-সবজি, জল ও প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফল।
>> ত্বক তৈলাক্ত হয়ে গিয়েই যেহেতু ব্রণের সমস্যা হয়, তাই ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করা জরুরি। ফেসওয়াশ কেনার সময় দেখে নিন তা অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ কি না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন