একবার মিনিস্ট্রোক হয়ে গেলে পরবর্তীতে রোগীদের খুবই সাবধানে থাকতে হয় যেন পরবর্তীতে আর স্ট্রোক না হয়। এ পরিস্থিতিতে অ্যাসপিরিন পরবর্তী স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে বলে জানা গেছে এক গবেষণায়। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই ওষুধটি সেবন করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ডিএনএ ইন্ডিয়া।
স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যসচেতনতা খুবই জরুরী। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস এবং মেদবহুলতা স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বাড়ায়। অনেকেই স্ট্রোকের উপসর্গ না জানার কারণে মিনিস্ট্রোকে আক্রান্ত হবার ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ থাকেন।
একবার মিনিস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে পরবর্তীতে পূর্ণ স্ট্রোকে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মিনিস্ট্রোকের বেলায় ধমনী বা রক্তনালীতে সাময়িক রক্ত জমাট বেঁধে মস্তিষ্কে সাময়িকভাবে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়। মিনিস্ট্রোকে সাধারণত মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হয় না তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ জরুরী। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যথার্থভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারেন যেমন ঘাড়ের ক্যারোটিড ধমনীর গতিপথ শুকিয়ে যাওয়া (ক্যারোটিড স্টেনোসিস) ইত্যাদি বিষয়ে আগাম সতর্কতা বলে দিতে পারেন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, একবার মিনিস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তারপর আর অপেক্ষা না করেই রোগীকে নিয়মিত অ্যাসপিরিন দেওয়া উচিত। এ ওষুধটি পরবর্তীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তবে তা গ্রহণ করার আগে রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ চিকিৎসক আরও কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ওষুধ নির্বাচন করবেন।
সাম্প্রতিক গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার আলট্রেচ, জার্মানির ইউনিভার্সিটি ডুয়েশবার্গ-এসেন ও সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। তারা ১২টি ট্রায়ালের সহায়তা নেন। এ বিষয়ে গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ল্যানসেট জার্নালে।
তবে শুধু অ্যাসপিরিন সেবনই নয় স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য আরও কিছু উপায় অবলম্বন করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ত্যাগ করা, পর্যাপ্ত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করা। এছাড়া রঙিন ফলমূল এবং শাক-সবজি গ্রহণ করা এবং দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…
গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…
দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…
হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…
কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…