হজম শাক্তি বাড়াতে ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থাকলে আমলকী অব্যর্থ ওষুধ, এই কথা এখন সবাই জানে। কিন্তু আমলকীর উপকার এখানেই থেমে নেই, এ এক মহৌষধি। এর উপকার অসীম। দেখে নিন আমলকীর আর কী কী গুণ রয়েছে, যার জন্য আপনি আমলকী খেতে পারেন।
১) বদ হজমে –
হজম শক্তি বাড়াতে আমলকীর তুলনা হয় না। অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও আমলকী দারুণ কাজ দেয়।
২) বমি ভাবে –
অনেকেরই বমি ভাবের সমস্যা থাকে। এমন ক্ষেত্রেও আমলকী উপকারী।
৩) মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতায় –
মাথা ও হৃদয়ের বেশ কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে আমলকী উপকার করে। মাথায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে পারে। মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪) হৃদয়ের সুস্থতায় –
হৃদয় ও ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
৫) ব্লাড সুগারে –
ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৬) কোলেস্টেরলে –
আমলকী কোলেস্টেরল লেভেলও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
৭) ভিটামিনের ঘাটতিতে –
শরীরে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, বি২-এর ঘাটতি পূরণ করে।
৮) ত্বকের লাবণ্যে –
আমলকী ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের কালো ছাপ দূর করে, উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৯) রক্ত পরিশ্রুত করতে –
রক্ত পরিষ্কার করতে আমলকী খুবই ভালো কাজ দেয়।
১০) সর্দি-কাশিতে –
সর্দি-কাশির সমস্যায় ভালো কাজ দেয় আমলকী।
১১) হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিসে –
হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিস থাকলে নিয়মিত আমলকী খাওয়া উচিত। এই সমস্ত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
১২) অরুচিতে –
অনেক সময় মুখের রুচি স্বাদ কোরক নষ্ট হয়ে যায়। আমলকীর টক মিষ্টি স্বাদ সেই স্বাদ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
১৩) খিদে বাড়াতে –
ক্ষুধামান্দে যারা ভুগছে তাদের খিদে বাড়াতে সাহায্য করে এই টক ফলটি।
১৪) পেটের সমস্যায় –
পেটের পীড়ায় উপকারী এই ফলটি।
১৫) পাইলসে –
পাইলসের সমস্যা দূর হয় এই ফল খেলে।
১৬) রক্তশূন্যতায় –
রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে আমলকী। রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ে।