অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা ও অনিয়মিত খাওয়াদাওয়ার কারণে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার ওবেসিটি, থাইরয়েড এবং কোলেস্টেরলের সমস্যার মতো নানা ব্যাধির জন্ম দিচ্ছে। আর এই সমস্যাগুলো থেকেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্রোগের।
১) উচ্চ রক্তচাপ : আজকাল অনেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
আর এই রক্তচাপ খুব বেশি বেড়ে গেল শরীরে নানা রকম জটিলতা তৈরি হয়। মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে স্ট্রোক বা হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এ থেকেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
২) কোলেস্টেরল : রক্তে দুই ধরনের কোলেস্টেরলে থাকে—১) লো ডেনসিটি কোলেস্টেরল (এলডিএল) ২) হাই ডেনসিটি কোলেস্টেরল (এইচডিএল)। এলডিএল শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নামে পরিচিত। এই খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনির রক্তপ্রবাহকে হ্রাস করে। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে তোলে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও।
৩) স্থূলতা : অতিরিক্ত ওজন হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেয়। ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর সমীক্ষা অনুসারে, শরীরের বাড়তি ওজন খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে আর ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। স্থূলতার কারণে বাড়তে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও।
হৃদ্রোগের লক্ষণ
১) বুকে ব্যথা ও অস্বস্তি।
২) নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট।
৩) পিঠ, ঘাড়, পেটসহ শরীরের ওপরের অংশে ব্যথা ও অস্বস্তি।
৪) ঘাম হওয়া, হালকা মাথা ব্যথা।
এই উপসর্গগুলো দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।rs