রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে? কি করবেন জেনেনিন বিস্তারিত

Written by News Desk

Published on:

ডায়াবেটিস হল সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা রোগগুলোর মধ্যে একটি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, ডায়াবেটিসের অর্থ হল রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়া। এটি দু’ধরনের হয়। টাইপ- ১ ও টাইপ -২ । টাইপ-১ এর কারণ হল, প্যানক্রিয়াসের ইনসুলিন উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। টাইপ -২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে শরীর ইনসুলিনের প্রভাবে সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সুস্থ থাকার জন্য আপনি কখন খাচ্ছেন, সেটাও জানা প্রয়োজন। আপনি খাবারটা যে সময়ের ব্যবধানে খাচ্ছেন তা আপনার খাবারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সময়ে খাবার খান তা আপনার মেটাবলিজম নির্ধারণ করে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠলে আমাদের মেটাবলিজম খুব বেশি হয়। আপনি যদি এই সময়ে আপনার শরীরকে জ্বালানি না দেন তবে আপনার শরীর বিপাকীয় হার বজায় রাখতে সক্ষম হবে না। সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণা নিশ্চিত করেছে যে ভুল সময়ে খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।

​খাবারের সময় কতটা গুরুত্বপূর্ণ

সঠিক সময়ে খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ববর্তী বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সকাল ৮টায় খাবার খেলে কীভাবে ইনসুলিন সংবেদনশীলতার ঝুঁকি কমায়। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রাতের খাবার দেরিতে খেলে তা শুধু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ায়।

​গবেষণা কী বলে?

খাবারের সময় কীভাবে প্রভাবিত হয় তা খুঁজে বের করার জন্য, বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণকারীদের দুই দলে বিভক্ত করেছিলেন। একদল লোককে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়েছিল, অন্য দলকে রাতের খাবার দেওয়া হয়েছিল। ফলাফলে দেখা গেছে যে, যারা রাতের খাবার খেয়েছেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা ৬.৪ শতাংশ বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাতে দেরি করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই সময়ে, এমনকী না চাইলেও, আপনি অতিরিক্ত ক্যালোরি, চিনি এবং লবণ-সহ অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করেন। আমরা বুঝি না যে শুধু পর্যাপ্ত খাবার খেলেই হবে না, খাবারের সময়ের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

রাতের ক্ষুধা নিবারণের উপায়

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ক্ষুধা কমাতে আপনি স্বাস্থ্যকর এবং কম ক্যালোরির বিকল্পগুলো বেছে নিতে পারেন। যেমন শুকনো রোস্টেড ফল, মৌসুমি ফল, সবজির রস, সেদ্ধ ডিম, সালাদ, গ্রীক দই, স্প্রাউট, লেগুম, কটেজ চিজ। তাই আপনারও যদি দিনে বা রাতে যে কোনো সময় খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা শুধরে নিন। কারণ না চাইলেও আপনার এই অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রার পাশাপাশি হার্ট ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।rs

Related News