ত্বকের মৃত কোষ নিয়মিত পরিষ্কার করতে না পারলে কখনওই আপনার জেল্লা ফুটবে না। আর প্রাকৃতিকভাবে মৃত কোষের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলে স্ক্রাবারের সাহায্য আপনাকে নিতেই হবে। এ কথা ঠিক যে আজকাল বাজারে নানা দামের ও উপকরণে তৈরি স্ক্রাব পাওয়া যায়। কিন্তু আপনার রান্নাঘরে যে সব উপাদান মেলে, তার মতো নিরাপদ ও রাসায়নিকমুক্ত স্ক্রাব যে আর একটিও নেই, তা নিয়ে কি আপনার কোনও সন্দেহ আছে?
আমাদের মা-দিদিমারা যে কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে তুলে রাখতেন এবং বছরভর বেটে প্যাকে মিশিয়ে ব্যবহার করতেন বা চাল-মুসুুরডাল বাটা তৈরি করে স্নানের আগে বিবাহযোগ্যা কন্যার গায়ে ডলে ময়লা তুলতেন, তা-ই হচ্ছে আদি স্ক্রাব। আপনার রোজের প্যাকে যদি খানিকটা মিহি গুঁড়ো নুন, চিনি বা সুজি মিশিয়ে নিতে পারেন তা হলে সেটাও স্ক্রাবার হিসেবেই কাজ করবে। অনেকে আমন্ড বা আখরোটের মতো বাদাম দুধে ভিজিয়ে রেখে বেটে নেন এবং তা দুধ-ময়দা-কাঁচা হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করেন।
ঘরোয়া বা দোকান থেকে কেনা – যে কোনও স্ক্রাব ব্যবহার করার সময়ে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। স্ক্রাবার একটু দানা দানা হওয়াই বাঞ্ছনীয়, তাই বাদাম, মুসুরডাল বা কমলালেবুর খোসা – যাই ব্যবহার করুন না কেন, বাটার সময় কচকচে ভাব বজায় রাখবেন। রোজের শিলনোড়া বা ব্লেন্ডারে প্যাক তৈরির উপাদান পেশা যাবে না, তার জন্য আলাদা বন্দোবস্ত রাখুন। যাঁদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর, তাঁরা লেবুর খোসা এড়িয়ে চলুন, এটি ব্যবহার করলে ত্বক বেশি জ্বালা করবে।
নুনের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। ঠান্ডা দুধ বা দইয়ের বেস ত্বকের লালচেভাব কমাতে সাহায্য করবে। ত্বকে ব্রণ বা র্যাশ থাকলে ঘরোয়া স্ক্রাবও ব্যবহার করবেন না। ব্রণ কমা পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রতিদিন স্ক্রাবার ব্যবহার করারও কোনও দরকার নেই, সপ্তাহে তিনদিন করলেই ত্বক যথেষ্ট ভালো থাকবে।
RS