বর্তমানে অ্যালকোহল সেবন মানুষের জীবনধারার একটি অংশ হয়ে উঠেছে। তবে অত্যাধিক পরিমাণে অ্যালকোহল পান যকৃৎ বা লিভারের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। যার ফলে পুরো স্বাস্থ্যের উপর পড়তে পারে মারাত্মক প্রভাব।
লিভার এমন একটি অঙ্গ যা শরীরের সমস্ত ক্ষতিকারক টক্সিন ছেঁকে বের করে দেয়। কিন্তু এর স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট হলে শরীরে জমে যাওয়া টক্সিন শরীরেই থেকে যায়।
ফলে একের পর এক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে লিভার সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি।
লিভারের সমস্যার একটি বড় কারণ প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল পান করা। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে ক্ষুধা হ্রাস পায়। যদি আপনার সঙ্গে এমনটা ঘটে অর্থাৎ ক্ষুধা মন্দা হয় তাহলে বুঝবেন আপনার লিভারের দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ক্ষুধা কমে গেলে কমে যাবে খাওয়া। এত প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দেখা দেবে শরীরে। যা লিভারের কোষের ক্ষতি করতে পারে।
আকস্মিক ওজন হ্রাসের ঘটনাও বিপজ্জনক। হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া এবং চেহারায় ব্যাপক পরিবর্তন অর্থাৎ শরীরের যে কোনও আকস্মিক পরিবর্তনই লিভারের রোগের কারণ হতে পারে।
লিভার রোগের অন্যতম লক্ষণের মধ্যে গা-গোলানো ভাব বা বমি হওয়া অন্যতম একটি লক্ষণ। এছাড়াও জ্বর ও পেটের নানা রকমের সমস্যা সহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অত্যধিক ক্লান্তি এবং দুর্বলতার অনুভূতি, লিভারের সমস্যার অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ। এটি অতিরিক্ত মদ্যপান কিংবা উত্তরাধিকার সূত্রে কোন রোগের কারণে হতে পারে। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হওয়ার পাশাপাশি, লিভারের অবস্থা অনুযায়ী হালকা কিংবা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
লিভারে প্রদাহ হলে তা ফুলে উঠতে পারে। তবে এই অবস্থা যদি মারাত্মক আকার ধারণ করে, তাহলে এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি সিরোসিস-এ আক্রান্ত হতে পারে, যা লিভারের চূড়ান্ত পর্যায়ের রোগ।
লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আরও কিছু সাধারণ লক্ষণ হল ঘন ঘন শরীর খারাপ হওয়া, গোড়ালি এবং পেট ফুলে যাওয়া, বিভ্রান্তি, তন্দ্রাচ্ছন্নভাব, ডায়রিয়া, চোখ এবং ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।