সুস্থ থাকতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের মতে, শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা, শরীরকে সচল রাখা, ত্বক ও চুলকে ঠিক রাখা, কিডনির যত্ন নেয়া, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জল খুবই উপকারী। তবে ঠাণ্ডা জল না খেয়ে উষ্ণ জল পান করা বেশি উপকারী। গবেষকরা জানান, দিনে এক থেকে দুই গ্লাস গরম জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
কুসুম গরম জল হজম ক্ষমতা ও রক্ত চলাচলকে উন্নত করে, ওজন কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জেনে নিই এ সময় কুসুস গরম জল পান করার স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. কুসুম গরম জল ঘাম ও মূত্রের মধ্য দিয়ে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।
২. এই জল হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। পাকস্থলী ও অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় হজম অঙ্গগুলোকে আরও ভালোভাবে হাইড্রেটেড করে। ফলে বর্জ্য বস্তু শরীর থেকে নিষ্কাশিত হয় এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম জল পান করুন।
৩. এই জল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। রাত্রে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম জল পান করুন।
৪. গরম জল শরীরের প্রতিটি স্নায়ুকে সচল রাখে ও শরীরের বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। মাথা যন্ত্রণা, গিঁটে গিঁটে ব্যথা ও নারীদের মাসিক ঋতুচক্রের খিঁচুনিতে আরামদায়ক গরম জল।
৫. রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে গরম জল। শরীরের ব্লাড ভেসেলসকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। ফলে প্রতিটি নার্ভ সচল থাকে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৬. অনিয়মিত পিরিয়ড ও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় কুসুম গরম জল।
পিরিয়ডের সময় রক্ত জমাট বেঁধে তা বেরোতে না পারলে ব্যথা হতে থাকে। এই সময় গরম জল পান করলে জমাট বাঁধা রক্ত ভেঙে গিয়ে ব্লাড ফ্লো সঠিকভাবে হয়, যা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
৭. অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে কুসুম গরম জল। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরায় ও খিদে কমায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবু বা মধু এক গ্লাস গরম জল মিশিয়ে পান করতে পারেন।
৮. সর্দি ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে মুক্তি পেতে গরম জল পান করুন।
৯. গরম জল ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। আর ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
কীভাবে খাবেন-
প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস কুসুম গরম জল পান করুন। আর সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস গরম জল পান করুন। সকালে এই গরম জলর সঙ্গে মধু বা লেবু মিশিয়ে পান করতে পারেন।