হঠাৎ জ্বর হলে যা করণীয়? দেখে নিন

Written by News Desk

Published on:

বেশিরভাগ সময়ে জ্বর নিজ থেকেই সেরে যায়। তাই সাধারণ জ্বর নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তবে এই সময়ের কথা ভিন্ন। এখন সাধারণ জ্বরেও চিন্তিত হতে হচ্ছে। তাই বিচলিত না হয়ে নিজের যত্ন নিন। সাধারণ জ্বর হলে ঘরোয়া যত্নেই সেরে যাবে। জেনে নিন হঠাৎ জ্বর এলে কী করবেন-

সাধারণ জ্বর হলে তা কমানোর জন্য প্রথমে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল বা এইস অথবা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েকদিন খেলেই সেরে যায়। তবে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে স্পঞ্জিং করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং খুব ভালো বোধ করে আক্রান্ত রোগী।

স্পঞ্জিং এর কাজে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল ব্যবহার করতে হবে। খুব ঠান্ডা জল আবার ব্যবহার করা ঠিক হবে না। আর শিশুদের ক্ষেত্রে জল শিশুটিকে বসিয়ে স্পঞ্জ করাই সুবিধাজনক, তাই বড় কোনো গামলা ভর্তি করে জল নেয়া উচিৎ। স্পঞ্জিং আলো-বাতাসযুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ভালো কাজ দেয়।

জ্বরের সময়টা কোনোরকম কাজ না করে বিশ্রাম নিতে হবে। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর জল পান করতে হবে। এছাড়াও লেবুর রস মুখে রুচি আনতে সাহায্য করে তাই লেবু বা লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে।

সামান্য জিরা আর কয়েকটি তুলসি পাতা জল ফুটিয়ে নিন। তারপর রেখে দিন। জ্বরের সময়ে রোজ সেখান থেকে দুই চামচ করে খান। উপকার মিলবে।

ফলের মধ্যে আনারস, পেয়ারা, কামরাঙা, আমলকি জাতীয় ফল খেতে পারেন। জ্বরের মুখে এগুলো খেতে ভালোলাগবে, রুচিও বাড়াবে খানিকটা। ঠান্ডা জাতীয় খাবার যেমন- আইসক্রিম, ফ্রিজের জল, কোমল পানীয় বাদ দিতে হবে। স্যুপ, আদা চা এসবও খেতে পারেন। অনেকটাই সতেজ লাগবে।

জ্বরে আক্রান্ত হলে কিছু ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। জ্বর হলে, অন্যদের সঙ্গে বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হাঁচি দেয়ার সময় বা নাকের জল মুছতে হলে রুমাল বা টিসু পেপার ব্যবহার করতে হবে এবং তা যেনো অন্য কেউ ব্যবহার না করে।

যেখানে সেখানে কফ, থুথু বা নাকের শ্লেষ্মা একদম ফেলা যাবে না, এতে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। জ্বর হলে স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে যেখানে আলো-বাতাস বেশি আসে এমন কক্ষে থাকতে হবে। ঘরোয়া যত্নে জ্বর সেরে না গেলে কিংবা বেশিদিন স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Related News