আপনার সন্তানের মিথ্যা কথা বলার প্রবণতা কমাবেন! এই ২টি উপায়ের মাধ্যমে

Written by News Desk

Published on:

মনোবিদদের মতে শিশুদের মিথ্যা কথা বলার প্রবণতাকে এক দৃষ্টিতে দেখা উচিত নয়। কোন শিশু কল্পনাপ্রবণ, আর কোন শিশু বিশেষ উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলছে তা আগে বোঝা দরকার। কারণে-অকারণে মিথ্যা বলার প্রবণতা অভ্যাসে পরিণত হলে তা শিশুর ভবিষ্যতের জন্য বিপদজনক। কেননা মিথ্যা বলার কারণে সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে সমস্যা হয় অভিভাবকদের।

শিশুরা কেন মিথ্যা বলে?
* কোন কোন শিশু খুবই কল্পনাপ্রবণ। তাই সে মিথ্যের আশ্রয় নিতে পারে।

* কোন কোন শিশু বিশেষ উদ্দেশ্যে মিথ্যা কথা বলে। যেমন, হয়তো তার সেদিন হোম ওয়ার্ক হয়নি, তাই সেদিন স্কুলে না যাওয়ার জন্য সে পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা বলে থাকে।

* মা-বাবা খুব রাগী হলেও অনেকে মিথ্যা বলে।

* বড়োদের মতোই অপ্রিয় সত্য কথা গোপন করতে শিশুরা মিথ্যা বলে।

শিশুর মিথ্যা রুখতে কী করবেন?

* শিশুরা যা দেখে তাই শেখে। তাই আগে নিজেকে সংশোধন করুন। কেননা শিশুরা দেখে শেখে, তাই বাড়ির বড়রা যদি মিথ্যা বলে শিশুরাও মিথ্যা বলতে শিখবে।

* শিশুর মিথ্যা ‘ধরা’ পড়ে গেলে ওকে মারধর করবেন না। বরং ঠাণ্ডা মাথায় বোঝান। কারণে-অকারণে মিথ্যা বলতে নেই। যেসব শিশু কল্পনাপ্রবণ, তাদের কথাগুলোকে মজার গল্প বলে প্রশংসা করুন।

* মনোবিদদের মতে ৬ বছর বয়সের পর শিশুদের ‘সুপার ইগো’র বিকাশ ঘটে। তার ফলে কোনটা ঠিক, আর কোনটা ভুল সে বুঝতে শেখে। এই সময় নীতিকথামূলক গল্প শোনান।

শিশুদের সত্যি কথা বলার শিক্ষা অবশ্যই দেবেন। তবে একটু বড় হলে, মতামত দেওয়ার সময় যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হয়, সেটা ওকে বুঝিয়ে দেওয়া ভাল।

Related News