সাবধান! কমবয়সি নারীদের হতে পারে এই ৫টি মারাত্মক রোগ, জেনেনিন আর সতর্ক থাকুন

Written by News Desk

Published on:

একজন নারীর শারীরিক, মানসিক ও প্রজনন সুস্বাস্থ্য সমানভাবে জরুরি। প্রতিটি নারীরই নিজের হরমোনাল স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আবার প্রয়োজনে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়াও উচিৎ। বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীদের এমন কয়েকটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা রয়েছে যা জীবনযাপন পদ্ধতি ও সচেতনতার অভাবে দেখা দেয়। সঠিক সময় রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা করালে এই সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।

এমন কয়েকটি রোগ আছে, যা অল্পবয়সি নারীদের কোনও না কোনও সময় দেখা দিতে পারে। চলুন রোগগুলো সম্পর্কে জেনে আসা যাক..

> পিসিওস-এর কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড, স্বল্প মাসিক প্রবাহ, ব্রণ, শরীরে অবাঞ্ছিত অংশে অত্যধিক চুল গজানো, ওজন বৃদ্ধি, ত্বক কালো হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি নিঃশব্দে মহামারীতে পরিণত হতে পারে। গর্ভধারণে সক্ষমতার বয়সে পৌঁছে যাওয়া প্রতি ৫ জন নারীর মধ্যে ১ জন এক্সারসাইজের অভাব ও উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার গ্রহণের ফলে পিসিওএসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।

>সচেতনতার অভাব, গর্ভনিরোধক ওষুধের ব্যবহারে অনীহা, পরিবার পরিকল্পনার ক্লিনিকের অভাব ইত্যাদি হল অপরিকল্পিত গর্ভধারণের কারণ। এরফলে ক্যারিয়ার ও মাতৃত্বের অভিজ্ঞতার ভারসাম্য প্রভাবিত হয়। পাশাপাশি দু্টি সন্তানের মধ্যে ব্যবধানের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে। গাইনিকোলজিস্টদের মতে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে কমবয়সি, অবিবাহিত মেয়েরা শারীরিক শোষণের শিকার হয়। যার ফলে তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে।

> নারীদের মধ্যে অরক্ষিত যৌন অভ্যাস, যেমন কন্ডোম বা কন্ট্রাসেপ্টিভ ব্যবহার না-করা, যৌন অভ্যাসের সামাজিক নিয়ম-নীতি পালন না করা, একাধিক যৌন সঙ্গী ইত্যাদি কারণে এসটিআই (Sexually Transmitted Disease) দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শুধু ভ্যাজাইনাল সেক্সের সময়ই নয়, বরং ওরাল বা অ্যানাল সেক্সের ক্ষেত্রেও কন্ডোম বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

>গর্ভ বা গর্ভাশয়ের বাইরে যে প্রেগনেন্সি হয়, তাকে একটপিক প্রেগনেন্সি বলা হয়। এর মধ্যে একটপিক প্রেগনেন্সির সবচেয়ে সাধারণ স্থান হল ফ্যালোপিয়ান টিউব। আগের সিসেরিয়ান সেকশানের কারণে ক্ষতর পর অনেক ক্ষেত্রে একটপিক প্রেগনেন্সি দেখা দেয়।

> বন্ধ্যাত্বের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল ওভুলেশান বা পিসিওএসের ফলে ডিম্বাণু উৎপন্ন হতে না পারা। এক্ষেত্রে টিউবে ব্লকেজ দেখা দেয়। ক্লাইমেডিয়ার মতো এসটিআই বা অতীতের কোনও সার্জারির কারণে টিউবে এই ব্লক দেখা দেয়। ডিম্বাণুর সংরক্ষণ কমে যাওয়া এই সমস্যায় নতুন সংযোজন ঘটায়। বেশি বয়সে (৩৫ বছরের পর) গর্ভধারণের পরিকল্পনা করে থাকলে এমন সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে।

Related News