শীতে সর্দি-কাশি প্রতিরোধের ৫টি সহজ উপায়, জেনেনিন অবশ্যই

Written by News Desk

Published on:

বছরের এই সময়ে সর্দি-কাশির সমস্যা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সর্দি, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা এবং গলা ব্যথা বেশ অস্বস্তিকর। এটি আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো করার ক্ষেত্রেও বাঁধা তৈরি করে। এ ধরনের সমস্যায় আমরা বিছানায় কুঁকড়ে থেকে গরম পানীয়তে চুমুক দিতেই বেশি পছন্দ করি। এই সময়ে ঠান্ডা বাতাস সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে, যা আমাদের স্বাভাবিক জীবনধারা ব্যহত করে।

সত্যি বলতে, অসুস্থ হয়ে সারাদিন বিছানায় পড়ে থাকতে কেউ পছন্দ করে না। তাই, নাক থেকে জল পড়া বন্ধ করার জন্য ওষুধ খাওয়া এবং পরে গরম জলের ভাপ নেওয়ার চেয়ে, সর্দি শুরু হওয়ার আগেই বন্ধ করা ভালো। এই শীতে সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে ফিট এবং সক্রিয় থাকার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো-

নিয়মিত হাত ধোওয়া

নিয়মিত হাত ধোওয়ার গুরুত্ব করোনা মহামারি আমাদের নতুন করে শিখিয়েছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে খাওয়ার আগে বা আমাদের মুখ স্পর্শ করার আগে সুন্দরভাবে হাত ধোওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ শিখেছি আমরা। শীতের মৌসুমেও এটি চালিয়ে যেতে হবে। সর্দি-সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলো সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি এবং হাঁচি থেকে ছড়িয়ে পড়ে, যা ২৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। তাই, অসুস্থ হতে না চাইলে খাওয়া বা মুখ স্পর্শ করার আগে হাত সাবান এবং জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

হাইড্রেটেড থাকুন

শীতকালে প্রতিদিন জল পানের মাত্রা কমে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের পিপাসা কম লাগে, তাই আমরা বেশি জল পান করি না। কিন্তু এমনটা করবেন না। জল শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এবং আমাদের অসুস্থ হওয়া থেকে বিরত রাখে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে দিনে অন্তত ২ লিটার জল পান করুন। এমনকি তরল গ্রহণের মাত্রা বাড়াতে স্যুপ এবং হাড়ের ঝোলও খেতে পারেন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার খান। এটি আপনাকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পেতে এবং ফিট রাখতে সাহায্য করবে। জিঙ্ক এবং ভিটামিন ডি গ্রহণের মাত্রায় বিশেষ মনোযোগ দিন। এই দুটি পুষ্টি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বেশি করে শাক, আস্ত শস্য, বাদাম এবং ফলমূল খান।

পর্যাপ্ত ঘুম

ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের জন্য অপরিহার্য। নিদ্রাহীনতা বা অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে ভাইরাস এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুম ভালো হলে তা আমাদের শরীরে সাইটোকাইন তৈরি করে, এটি সংক্রমণ এবং প্রদাহকে দূরে রাখে। সুতরাং, আপনার ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।

শরীরচর্চা

শরীরচর্চা শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্য বা পেশী তৈরির জন্য অপরিহার্য নয়, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ঠান্ডা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে, ব্যায়াম আমাদের ইমিউন কোষগুলোকে শরীরের চারপাশে আরও দ্রুত ভ্রমণ করতে সহায়তা করে। এইভাবে, এটি শরীরকে আরও ভালো উপায়ে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। হাঁটা, যোগব্যায়াম, ধ্যান, দৌড়ানো ইত্যাদি আপনাকে সাহায্য করবে।

Related News