মৃগী ও স্নায়ু সমস্যায় ‘গাঁজা’ দিয়ে তৈরী ওষুধে মুক্তি মিলবে দ্রুতই, জেনেনিন বিস্তারিত

Written by News Desk

Published on:

মৃগী ও স্নায়ু সমস্যায় (মাল্টিপল স্কেলেরোসিস) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য গাঁজার তৈরি ওষুধ ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বিভাগ (এনএইচএস) এমন দুটি ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

দেশটির ওষুধের মান যাচাইকারী সংস্থা এনআইসিই’র নতুন নীতিমালা অনুসরণ করে এই ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা গাঁজা দিয়ে ওষুধ তৈরির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।

তবে গাঁজার তৈরি এই ওষুধ প্রাপ্তির জন্য যথেষ্ট লড়াই করতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের এমন খবরও পাওয়া গেছে।

বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, দুটি ওষুধই যুক্তরাজ্যে তৈরি করেছে। এমনকি এই ওষুধের উপাদান গাঁজাও যুক্তরাজ্যের। চিকিৎসকরা দুই ধরনের গুরুতর মৃগী রোগী নিয়ে কাজ করছেন। যাদের ‘লিনক্স গ্যাস্টট’ ও ‘ড্রাভেট সিন্ড্রোম’সহ বিভিন্ন ধরনের খিঁচুনি দেখা দেবে এমন শিশুদের জন্য ‘এপিডায়োলেক্স’ নামে ওষুধটি দিতে পারবেন।

তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই ওষুধ ব্যবহারে কিছু সমাধানও দেখা গেছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন ওষুধের মধ্যে ক্যানাবিডিওল (সিবিডি) রয়েছে, কিছু শিশুর ক্ষেত্রে খিঁচুনির মাত্রা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারবে এই ওষুধ।

গত সেপ্টেম্বরে ‘এপিডায়োলেক্স’ ইউরোপে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়। প্রত্যেক বছর একজন রোগীর জন্য এই ওষুধ ব্যবহারে খরচ পড়বে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার ইউরো। তবে ওষুধ দুটির প্রস্তুতকারক কোম্পানি জিডব্লিউ ফার্মাসিউটিক্যালস এই ওষুধের দাম কমাতে রাজি হয়েছে।

ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্য বলছে, যুক্তরাজ্যে অন্তত তিন হাজার মানুষ ড্রাভেট সিন্ড্রোম এবং পাঁচ হাজার মানুষ লিনক্স গ্যাস্টট সিনড্রোমে ভুগছেন। নতুন ওষুধ দুটিতে গাঁজার মূল সাইকোঅ্যাক্টিভ উপাদানের উপস্থিতি নেই।

প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে এই ওষুধ সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এনআইসিই ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডেও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছে। আগামী বছর থেকে স্কটল্যান্ডেও পাওয়া যাবে এই ওষুধ।

Related News