সতর্কবাতা! খাদ্যাভ্যাস আপনার ঘুমের ওপর যেভাবে প্রভাব ফেলে,দেখেনিন

Written by News Desk

Published on:

ভালো ঘুমের জন্য খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর দিতে হয়।

তাই কী খাওয়া হচ্ছে এবং কখন খাওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে খাবার খাওয়া: খাবার ঘুমের গুণগত মানের ওপর প্রভাব রাখে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘুম বিজ্ঞানী ড. সোফি বোস্টক ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “মস্তিষ্ক দেহকে বাইরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে সংকেত গ্রহণ করে। খাদ্যাভ্যাস এই সংকেতগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাতে দেরিতে খাবার খাওয়া ঘুম ও হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।

খাবারের সময় নির্ধারিত রাখা: খাবার নির্দিষ্ট সময়সীমা কেবল হজম হতেই নয় বরং ভালো ঘুমেও সহায়তা করে।

দেহ সুনির্দিষ্টতা বা ধারাবাহিকতা পছন্দ করে। সকাল, দুপুর ও রাতে একই সময়ে খাবার খাওয়া ঘুম চক্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। যা দীর্ঘস্থায়ী সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন স্নায়ুবিজ্ঞানী ও ঘুম বিশেষজ্ঞ মেজর অ্যালিসন ব্রেজার ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছিলেন, “দেহঘড়ি খাবার, ঘুম, পান করা এবং বেঁচে থাকার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ করার সময় আন্দাজ করতে পারে।”

আর এট দেহের জন্য ভালো।

রাত জাগার অন্যতম ক্ষতিকারক দিক হল ওজন বাড়া, স্থূলতা এবং বিপাক প্রক্রিয়াতে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

ঘুম সহায়ক খাবার খাওয়া: নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য ঘুম বাড়াতে সহায়তা করে এমন খাবার বেছে নেওয়া উচিত।

ট্রিপটোফেন-জাতীয় খাবার যেমন- তৈলাক্ত মাছ, শুঁটি-জাতীয় খাবার এবং পালংশাক আরামদায়ক হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে খাওয়ার পরে ঘুম ঘুমভাব অনুভূত হয়।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ সামান্তা ক্যাসেটি।

আখরোট ট্রিপটোফেন, আরামদায়ক খনিজ ম্যাগনেশিয়াম ও মেলাটোনিনের ভালো উৎস যা একসঙ্গে ঘুমের হরমোণ নিঃসরণে সহায়তা করে।

এক প্রতিবেদনে ক্যাসিটি আগেই বলেছিল যে, “মস্তিষ্কের যদি কোনো ‘অন/অফ’ সুইচ থাকে তাহলে সেটা হল ম্যাগনেশিয়াম।”

এটা মেলাটোনিনের মাত্রা বাড়ায় এবং ঘুমের মান উন্নত করে।

মাঝ রাতে স্বাস্থ্যকর নাস্তা: মাঝ রাতে ক্ষুধায় অনেক সময় ঘুম ভেঙে যেতে পারে। সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এই সময় স্বাস্থ্যকর নাস্তা বেছে নেওয়া উচিত।

ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় না ও সহজে হজম হয় এমন খাবার বেছে নিতে হবে।

রাতে অ্যালকোহল, ক্যাফেইন-জাতীয় পানীয় পান বার বার মূত্রের নিঃসরণ ঘটায়।

এই সময়ে চেরি, কুমড়ার বীজ, কটেজ পনির, কিউই, বাদামের মাখনের সঙ্গে কলা ইত্যাদি হালকা নাস্তা ঘুম উন্নত করে।

এছাড়াও তেষ্টা মিটাতে গরম দুধ বা এক কাপ ক্যামমাইল চা পান করা উপকারী।

Related News