হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে কী করা উচিত, জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

একজন সুস্থ স্বাভাবিক পূর্ণবয়স্ক মানুষের সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক চাপের পরিমাপ হচ্ছে ১২০/৮০। এই পরিমাপটি বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত হয়। রক্তচাপের পরিমাপ যদি ১২০/৮০ থেকে উপরে থাকে তাহলে তা উচ্চ রক্তচাপ, আর যদি নিচে থাকে তাহলে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যাকে নির্দেশ করে।

 

পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক উদ্বেগ, অতিরিক্ত পরিশ্রম, স্নায়বিক দুর্বলতা ইত্যাদি নানা কারণ রক্তচাপকে প্রভাবিত করে। আমাদের অনেকেরই ধারণা, উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে নিম্ন রক্তচাপ কম ভয়ের। কিন্তু এ ধারণা ভুল। চিকিৎসকদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের মতো নিম্ন রক্তচাপও হৃদযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে।

রক্তচাপ কমে গেলে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃৎপিণ্ডে ঠিকভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না। ফলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, চোখে অন্ধকার দেখা, বমি বমি ভাব, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত সামাল দেওয়ার জন্য কিছু কিছু উপায় আছে যা অবলম্ব করা উচিত।

এবার জেনে নেওয়া যাক, হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে কী করা উচিত-
* চিকিৎসকদের মতে, এমন হলে প্রথমেই রোগীকে লবণ-চিনির জল দিন। এক গ্লাস জলে ২-৩ চা চামচ চিনি ও এক চা চামচ লবণ মেশান। লবণের সোডিয়াম ও চিনির শর্করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ডায়াবেটিসের রোগী হলে শুধু লবণজল খাবেন।

* নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় রোগীর ঘাড়ে, কানের লতির দু’পাশে ও চোখে-মুখে ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিলে দ্রুতই অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠবেন।

* ক্যাফিন আছে এমন পানীয় তাড়াতাড়ি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। কফি প্রেশার বাড়াতে খুব কার্যকর। তাই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় কড়া করে খফি খেতে পারলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

* নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় যষ্টিমধু খুবই কার্যকর। যষ্টিমধু রক্তচাপের ভারসাম্যও বজায় রাখে। বাড়িতে যষ্টিমধু থাকলে এক কাপ জলে ১০০ গ্রামের মতো যষ্টিমধু মিশিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর সেই জল খেতে দিন রোগীকে, উপকার পাবেন।

* শরীরে প্রোটিন কমলেও রক্তচাপের উপর তার প্রভাব পড়ে। দুধ ও ডিমে হাই প্রোটিন। তাই এমন হলে রোগীকে পথ্য হিসাবে দিন ডিমের কুসুম ও দুধ।

Related News