আপনার সন্তানকে কীভাবে বোঝাবেন সময়ের গুরুত্ব? জেনেনিন

ছোট থেকেই সন্তানকে সময়ের গুরুত্ব শেখান। কারণ সময়ানুবর্তিতা ঠিকমতো না জানলে বড় হতে হতে যখন বিভিন্ন কাজে আপনার সন্তান জড়িয়ে পড়বে, তখন সময়ের অভাবে ভুগবে সে। তাই কী ভাবে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে হবে, তা ছোট থেকেই শিখাতে হবে আপনাকে।

কিন্তু কী ভাবে নিজের সন্তানকে সময়ের গুরুত্ব বোঝাবেন? জেনে নিন-

>অধিকাংশ সময় বাচ্চারা মা-বাবাকে দেখেই শিখে থাকে। তাই প্রথমে অভিভাবকদের সময়ের গুরুত্ব দেওয়া শিখতে হবে। আপনারাই যদি সময় নষ্ট করেন, তা হলে আপনার দেখাদেখি বাচ্চারাও তাই শিখবে। তাই অভিভাবকদের উচিত সময় মেনে চলা, তা হলে সন্তানও তাদের অনুসরণ করবে।

>আপনার সন্তান সময় মেনে কোনও কাজ করে থাকলে বা আপনার দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করলে তার প্রশংসা করুন, পাশাপাশি কোনও পুরস্কারও দিন। এর ফলে তারা আগামী দিনেও সময় মেনে কাজ করার তাগিদ অনুভব করবে। সময়ানুবর্তিতা তাদের অভ্যাসে পরিণত হবে।

>বাচ্চাদের কাছেও ঘড়ি বা ক্যালেন্ডার থাকা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ঘড়ি বা ক্যালেন্ডার দেখে তারা সময়ের হিসাব করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ঘুম থেকে ওঠার সময়, পড়াশোনা, গোসল, খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমানোর সময়ের তালিকা বানিয়ে দিন। বিভিন্ন কাজের জন্য রিমাইন্ডার বা অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। আবার কোনও বিশেষ কাজ থাকলে, কোন দিন কোন কাজ করতে হবে, তারও একটি তালিকা দিয়ে দিন।

>যে বাচ্চাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকে, তারা থেমে থেমে কাজ শেষ করে। তাই নিজের সন্তানকে আশ্বস্ত করুন যে, আপনি তাকে বিশ্বাস করেন এবং সে সময় মতো কাজ পূর্ণ করতে পারবে। মা-বাবার সন্তানের ওপর বিশ্বাস বজায় রাখলে ধীরে ধীরে তারা নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।

>কাউকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলে তা সময়ের মধ্যে পূরণ করা কতটা জরুরি, তা-ও তাদের শেখাতে হবে। আপনার সন্তান যদি কাউকে কোন নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে, তা হলে তা পূরণ করার জন্য তাদের উৎসাহিত করুন। এর ফলে অন্যেরাও আপনার সন্তানের ওপর ভরসা করবে। অন্যের বিশ্বাস অর্জন করায় বাচ্চাদের মধ্যে সময়ানুবর্তিতা ও সততা বিকশিত হবে।

>সন্তানকে সঠিক পথ দেখানো মা-বাবার প্রধান দায়িত্ব। সময় বুঝে সন্তানের পথ প্রদর্শন করতে হবে। সন্তান যদি আপনার দেওয়া কাজ পূর্ণ করতে না-পারে, তা হলে তাদের উৎসাহিত করুন এবং কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পথ প্রদর্শন করুন।

>সন্তান যদি সময় মেনে না-চলে বা অভিভাবকদের দেওয়া কাজ পূর্ণ না-করে, তা হলে মা-বাবারা তাদের প্রতি কঠিন ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এর ফলে হীতে বিপরীত হতে পারে। কারণ বাচ্চাদের মনোবল ভেঙে যাবে এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবও দেখা দিতে পারে তাদের মধ্যে। শত চেষ্টা সত্ত্বেও যদি বাচ্চারা ধীরে ধীরে কাজ করে, তা হলে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতির চেষ্টা করুন।

News Desk

Recent Posts

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

58 mins ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

1 hour ago

ধূমপানে আসক্তি কমাতে পান করুন ৩ পানীয়

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও তা মানতে নারাজ ধূমপায়ীরা। আবা ধূমপানের অভ্যাসও ছাড়া বেশ মুশকিল। ধূমপান ছাড়তে কতজনই না কত…

1 hour ago

ওজন কমে যাওয়া কঠিন যে ৫ রোগের লক্ষণ হতে পারে

অতিরিক্ত ওজনে যারা ভুগছেন সামান্য ওজন ঝরতেই তারা খুশি হয়ে যান! তবে ডায়েট বা শরীরচর্চা ছাড়াও যদি হঠাৎ করে আপনার…

4 hours ago

জ্বরসহ কী কী লক্ষণ দেখলে ডেঙ্গু টেস্ট করানো জরুরি?

দেশে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। তাই এখন কারো জ্বর হলেই ঘরের সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন ডেঙ্গু ভেবে। ডেঙ্গু জ্বর একটি…

20 hours ago

যে রঙের কাপড়ে মশা বেশি আকৃষ্ট হয়

মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ে থাকে। তবে কারও কারও একটু বেশিই কামড়ায়! এর কারণ কী জানেন? আসলে মশা কাকে বেশি আক্রমণ…

1 day ago