হাজারো কাজের ব্যস্ততায় ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় পান না অনেকেই।
এমনকি পার্লারে যাওয়ার ফুসরতও মেলে না ব্যস্ততার জন্য। ফলে দিনের পর দিন অযত্ন, অবহেলায় ত্বকের উপর নেতিবাচক প্রভাবের লক্ষণ দেখা দেওয়া শুরু করে। অসমান ত্বকের রঙ, র্যাশ, ব্রণ, রোদে পোড়াভাব, ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা সহ নানান সমস্যা নতুনভাবে দেখা দেওয়ার পাশপাশি, কিছু সমস্যা বেড়ে যায়।
এমন অবস্থায় ত্বকের যত্নের জন্য প্রয়োজন হয় ওভারনাইট ফেস মাস্কের। হাতের কাছে বিভিন্ন ধরণের রেডিমেড পণ্য পাওয়া গেলেও, কেমিক্যালযুক্ত এই সকল পণ্য ব্যবহার করার ফলে ত্বকের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হবার সম্ভবনাই বেশি থাকে।
তাই ওভারনাইট ফেস মাস্কের জন্য ব্যবহার করতে হবে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ফেস মাস্ক। আজকের ফিচারে দুইটি একেবারেই সহজ ওভারনাইট ফেস মাস্কের বিবরণ দেওয়া হলো।
ওটস ও মধুর ফেস মাস্ক
ওটসে থাকে স্যাপোনিন্স (Saponins) নামক বিশেষ এক উপাদান। এটা প্রাকৃতিক পরিষ্কারক উপাদান হিসেবে কাজ করে। ওটস ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নিয়ে ত্বককে ব্রণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের মরা চামড়া এবং ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে। ওটসের সঙ্গে বিশুদ্ধ মধু মেশানোর ফলে শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব উপকারী ফেস মাস্ক তৈরি হয়। শুধু মুখের ত্বক নয়, শুষ্ক হাঁটু, কনুই ও ঠোঁটের জন্যেও এই এই মাস্ক ব্যবহার করা যাবে।
ফেস মাস্কটি তৈরির জন্য এক টেবিল চামচ ওটসের গুঁড়া ও এক টেবিল চামচ মধু লাগবে। দুইটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে মিনিট দশেকের জন্য রেখে দিতে হবে। যেন ওটসের গুঁড়া একদম নরম হয়ে যায়। এরপর মুখ ধুয়ে পুরো মুখে ভালোভাবে মিশ্রনটি মাখিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে।
টমেটো ও মধুর ফেস মাস্ক
ত্বকের ক্ষেত্রে টমেটো অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট হিসেবে কাজ করে। ব্রণের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ঘনঘন এমন ত্বকের জন্য টমেটো বিশেষ উপকারী। এছাড়া ত্বকের প্রাণের ভাব ফিরিয়ে আনতে এবং রোদে পোড়াভাব দূর করতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার।
এই ফেস মাস্কটি তৈরির জন্য মাঝারি সাইজের একটি টমেটোর পেস্ট ও দুই টেবিল চামচ দুধ প্রয়োজন হবে। দুইটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে হবে। প্রথমবারের মাস্ক শুকিয়ে গেলে তার উপরে আরো একবার মিশ্রণটি দিতে হবে। সেটাও শুকিয়ে আসলে আবারো দিতে হবে। এইভাবে সম্পূর্ণ মিশ্রণ দেওয়া হয়ে গেলে পুরো রাত ফেস মাস্ক রেখে দিয়ে সকালে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
যেহেতু এই ফেস মাস্কগুলো রাতে ব্যবহারের জন্য, তাই রাতে বালিশের উপর বাড়তি পরিষ্কার কাপড় কিংবা তোয়ালে বিছিয়ে এরপর ঘুমাতে হবে।
দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি পানীয়। এটি প্রোটিনের অন্যতম উৎস। এ ছাড়া দুধ থেকে আমরা ক্যালসিয়াম পেয়ে থাকি, যা হাড়ের গঠনে…
মুখে ‘ভালো আছি’ বললেই কি ভালো থাকা যায়? বর্তমানে সবাই কর্মব্যস্ত জীবন পার করছেন। আর কাজের ফাঁকে সবাই ভালো থাকার…
একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বেশি মানুষের মধ্যে অস্বস্তিবোধ করেন। তারা খুব বেশি ভিড়…
দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেন অনেকেই। দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই শান্তি খুঁজে পান। তবে এই ঘুম কি…
মাছের তেল শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এ কারণে পুষ্টিবিদরা মাছের তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।…
বাজারে এখন পাকা আম উঠতে শুরু করেছে। তবে সেগুলো আদৌ গাছপাকা নাকি কৃত্রিমভাবে পাকানো তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। গাছপাকা হলে…