রাতে ঘুমানোর আগে অনেকেরই খাওয়ার অভ্যাস আছে। রাতের খাবার তো আছেই, পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাক খাওয়ারও অভ্যাস রয়েছে অনেকের।
বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, রাতে কিছু তুচ্ছখাবার রয়েছে যা খেয়ে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যের জন্য আত্মঘাতী খাবারগুলো সম্পর্কে জানুন এবং এই খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-
১. অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবারের জন্য আপনার জ্ঞান লোপ পেতে পারে। এছাড়াও ঝালযুক্ত খাবারের ফলে বুকে জ্বালা করে এবং মাঝে মাঝে পেটে ব্যথারও উপক্রম হয়। রাতে শোবার আগে অবশ্যই কেউ পেটে ব্যথায় ভুগতে চাইবে না। তাই এই জাতীয় খাবারগুলো বাদ রাখুন।
২. ফ্যাটযুক্ত খাবার মোটেও খাবেন না। পিৎজা, বার্গার, আলুর চিপস ইত্যাদি খেতে অনেক মজাদার হলেও এগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে রাতে এগুলা না খাওয়াই ভালো। এসব খাদ্যের ফলে আপনার পরিপাকক্রিয়াতে সমস্যা হবার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ওজনও বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া এর ফলে সারাদিনের কাজ সম্পাদনের জন্য জরুরি শক্তি আপনার মধ্যে থাকবেনা।
৩. পনির শরীরকে মোটা করার জন্য যথেষ্ট। তাই, পনিরকে খুব সংযতভাবে খাওয়া উচিৎ। অনেকেই পনির পেলে খেতেই থাকেন। কিন্তু, পনির হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও শরীরে উচ্চমাত্রায় চর্বি ও কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে।
৪. অতিরিক্ত ফল খেলে শরীরে গ্যাসের সৃষ্টি হয় এবং হজম ক্ষমতায় বিভিন্ন বিঘ্ন বাঁধে। যদি রাতে ফল খেতেই হয়, তাহলে এককাপের বেশি ফল খাবেন না।
৫. মাংস খুব তাড়াতাড়ি হজম হয় না। এ জন্যই রাতে মাংস খাওয়া একদমই ঠিক নয়। তাছাড়া মাংস খাবার পর পরই যদি আপনি ঘুমাতে চলে যান, তাহলে আপনার ঘুম আসতে দেরি হবে।
৬. চিপস, ভুট্টা, ভাঁজাপোড়া খাবার বা এ ধরনের বিভিন্ন খাবার বাহির থেকে এনে খাবেন না। এতে আপনার কোন উপকার তো হবেই না, আরো শারীরিক সমস্যা দেখা দিবে। এতে আপনার ঘুমে সমস্যা হবে ও ওজন বৃদ্ধি পাবে।
৭. মিষ্টিজাতীয় খাবার একদমই খাবেন না। আইসক্রিম, চকলেট, ক্যান্ডি বার ইত্যাদি খাওয়ার পর খেলে তা আপনার খাদ্য হজমে সাহায্য করবে। কিন্তু এতেও রয়েছে ফ্যাট। তাই, ঘুমানোর আগে অবশ্যই ফ্যাটযুক্ত কোন খাবার খাবেন না।
ঘুমাতে যাবার অন্তত ২০ মিনিট আগে সকল প্রকার খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। রাতে খাওয়ার পরপরই বিছানায় যাবার অনেকের বদ-অভ্যাস রয়েছে। এই কাজটি ভুলেও করবেন না। খাবার পর অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটুন। বিছানায় যাবার আগে খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
সবার ঘরেই অন্তত একটি করে হলেও সিলিং ফ্যান আছে। এই গরমে যাদের ঘরে এসি বা এয়ার কন্ডিশন নেই, তাদের ভরসা…
বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছেন। তবে হাসিখুশি থাকা যে শরীর ও মনের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই…
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই তাপপ্রবাহে ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই অনেকের আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়েছে। যারা এরই…
তীব্র গরমে বড়দের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে ছোটরাও। এ সময় শিশুদের কীভাবে সুস্থ রাখবেন তাই এখন বড় প্রশ্ন, প্রত্যেক মা-বাবার জন্য়।…
তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে…
কাজের ব্যস্ততা কিংবা আলস্যের কারণে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক। এই অভ্যাসের কারণেই…