সাবধান! অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার পর দূরে থাকুন এই ৬ ধরনের খাবার থেকে, নাহলেই ঘটবে মারাত্মক বিপদ

যেকোনো ধরণের একটু বেশি অসুস্থতার জন্যই আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ডাক্তার প্রথমেই যে ঔষধটি দেন সেটি হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। এই ঔষধটি সাধারণত জলের সাথে খেতে হয় কারন যদি ফলের জুস বা অন্য কোন ধরনের দুগ্ধ জাতীয় খাবারের সাথে সেটা খাওয়া হয় তাহলে এর কার্যকারিতার বিপরীত ফল হতে পারে।এছাড়া যখন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়া হয় তখন বেশ কিছু ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এখানে কিছু খাবারের তালিকা দেয়া হল যা চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অবশ্যই বর্জন করতে হবে অন্যথায় সেটা ঔষধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে।

বলা হয়ে থাকে যে, ঔষধের সাথে সেই খাবারগুলো সম্ভাব্য ৩টি উপায়ে পরস্পরের উপর ক্রিয়া করে। প্রথমত এগুলো দেহে ঔষধের শোষণকে বাধা দেয়। দ্বিতীয়ত ঔষধ থেকে দেহে শোষিত হওয়ার হারের গতি ধীর করে দেয় এবং সবশেষে দেহে ঔষধের ভাঙনে প্রতিরোধ সৃষ্টি করে।তাই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় অবশ্যই উচিত সঠিক খাবার গ্রহন করা। এবার দেখে নিন কোন কোন খাবার এই সময় বর্জনীয়।

১. অম্ল জাতীয় খাবার: যখন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়া হয় তখন প্রথম যে খাবারটি বর্জন করতে হবে তা হল উচ্চ মাত্রার অম্ল জাতীয় খাবার। চকলেট, বাদাম, টক ফল, টমেটো এই জাতীয় খাবার গুলো দেহে ঔষধ শোষিত হতে বাধা দেয়।

২. দুগ্ধ জাতীয় খাবার: দই ছাড়া অন্য সব দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়া অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ চলার সময় বন্ধ রাখতে হবে। দুধ, পনির ইত্যাদিতে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম থাকে যা অ্যান্টিবায়োটিক শোষণে বাধা দেয়। তবে দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকের জন্য তা অ্যান্টিবায়োটিকের উপর কোন প্রভাব ফেলে না।

৩. অ্যালকোহল: চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কখনই অ্যালকোহল গ্রহন করা যাবে না। অ্যালকোহলের মাঝে থাকা কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য ঔষধের কার্যকারিতায় মারাত্বক প্রভাব ফেলে।

৪. আঁশ জাতীয় খাবার: আঁশ জাতীয় খাবারের কিছু বৈশিস্ট্য পাকস্থলিতে খাবার শোষণের গতিতে ধীর করে। অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ নির্দিষ্ট সময় নিয়ে পাকস্থলিতে ভাঙে কিন্তু তখন যদি উচ্চ পরিমানে আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া হয় তাহলে তখন সেই ঔষধ ভাল ভাবে কাজ করে না।

৫. কফি: যখন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়া হয় তখন অবশ্যই যেসব পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে তা বর্জন করতে হবে। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় দেহের জন্য তখন তা বিষের মত।

৬. অন্যান্য সাপ্লিমেন্ট: এই সময় যেসব খাবারে অতিমাত্রায় আয়রন ও ক্যালসিয়াম থাকে তা বর্জন করতে হবে। কারন এটি ঔষধের শোষনে হস্তক্ষেপ করে।সতর্ক হন, সুস্থ থাকুন।

News Desk

Recent Posts

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে যেভাবে সাহায্য করে মৌরি

সকালে উঠে মৌরি ভেজানো পানি পান করে অনেকেই দিন শুরু করেন। মূলত পেট পরিষ্কার করতে এর উপর ভরসা রাখেন অনেকে।…

7 hours ago

এনার্জি পেতে চা-কফির পরিবর্তে অভ্যাস করুন ৬ জিনিসের

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক না দিলে যেন শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে না।…

8 hours ago

গরমে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ও প্রতিরোধে কী করবেন?

শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এরই মধ্যে। প্রায় সব ঘরেই দিন-রাতে চলছে ফ্যান বা এসি। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়…

9 hours ago

শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে কি না বুঝে নিন ৫ লক্ষণে

শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে প্রোটিনের বিকল্প নেই। আপনি যদি নির্বিঘ্নে কাজ করতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।…

10 hours ago

ঘুমের মধ্যে কিংবা হাঁটতে গিয়ে পেশিতে টান ধরে যে কারণে

পেশিতে টান ধরার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কখনো ঘুমের মধ্যে কিংবা কখনো হাঁটতে গিয়ে বা আড়মোড়া ভাঙতে গিয়ে হঠাৎই পেশি শক্ত…

11 hours ago

পুরুষের চেয়ে নারীরা যে কারণে বেশি ডিপ্রেশনে ভোগেন

নারীরা মানসিকভাবে পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশি জটিলতা ভোগ করেন। শারীরিক সমস্যার মতো মানসিকভাবেও জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে ভেঙে পড়েন…

22 hours ago