মুখ ধোয়ার হেলাফেলায় ত্বকের ক্ষতি, জেনেনিন

মুখ ধোয়া আমাদের প্রাত্যহিক কাজ। অনেকটা অভ্যাসের মতো বলা চলে। অধিকাংশ সময়ই এ কাজটি আমরা খুব সহজ ধরে নিয়ে কোনোমতে করে ফেলি। অথচ মুখ ধোয়ারও কিছু নিয়ম আছে। হয়তো কথাটি শুনে অনেকের হাসি পাবে!

কিন্তু বাস্তবতা হলো- সঠিকভাবে মুখ ধোয়া না হলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে নিজের মুখের ত্বকেরই! নিয়ম মেনে মুখ না ধুলে দেখা দিতে পারে ব্রণের উপদ্রব ও বলিরেখাও। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসবে, মুখ ধোয়ার সঠিক নিয়ম কী!

জেনে নিন মুখ ধোয়ার সঠিক উপায়-

ভালোভাবে হাত ধোয়া

মুখ ধোয়ার আগে অবশ্যই হাতের ময়লা-জীবাণু দূর করার জন্য হাত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। না হলে হাত থেকে জীবাণু সরাসরি মুখে স্থানান্তরিত হয়ে ব্রণের উপদ্রব ঘটাবে।

পরিষ্কার কাপড়ে মুখ শুকাতে হবে

এই নিয়মটা মানা খুবই জরুরি। কারণ মুখ ধোয়ার পর মুখের ত্বক খুব নাজুক অবস্থায় থাকে। কাপড় পরিষ্কার না হলে, সেই কাপড় থেকে জীবাণু খুব দ্রুত মুখে সংক্রমিত হয়ে পড়ে। আরো একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। কাপড়, তোয়ালে কিংবা গামছায় মুখ খুব জোরে মোছা যাবে না। আস্তে আস্তে মুখের উপর চেপে চেপে জল শুকিয়ে নিতে হবে।

কুসুম গরম জল মুখ ধুতে হবে

ঠাণ্ডা জল মুখ ধোয়া প্রশান্তিদায়ক হলেও, ত্বকের সুরক্ষার জন্য কুসুম গরম জল মুখ ধোয়া উচিৎ। অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠাণ্ডা জল ত্বকের জন্য উপকারি নয়। গরম জল ত্বকে থাকা প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। অন্যদিকে ঠাণ্ডা জল ত্বকের রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ করে।

দিনে দু’বারের বেশি মুখ ধোয়া নয়

অনেকেই হয়তো দিনের ভেতর কয়েকবার করে মুখ ধুয়ে থাকেন। বারংবার মুখ ধোয়ার ফলে ত্বকে থাকা প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেলের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। যা ত্বকে ব্রণের উপদ্রবের সম্ভবনা বৃদ্ধি করে। তাই চব্বিশ ঘন্টা দুইবারের বেশি মুখ না ধোয়াই শ্রেয়। প্রয়োজনে একবার বেশি ধোয়া যেতে পারে।

ভুল ক্লিনজার ব্যবহার না করা

মুখের ত্বকের পি-এইচ-এর মাত্রায় অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় ভুল ক্লিনজার ব্যবহারে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মুখের ত্বকের পি-এইচ-এর মাত্রা হলো ৫.৫ পি-এই। এ মাত্রায় ত্বকের উপরিভাগের রক্ষণশীল পাতলা পর্দা যাকে অ্যাসিডের আবরণ বলা হয়, সেটা কার্যকর থাকে। এ পর্দা ত্বককে ক্ষতিকর জীবাণু, টক্সিন, ও ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে রাখে। যে কারণে ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা ও ত্বকের জন্য মানানসই ক্লিনজার ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

News Desk

Recent Posts

ঘরে রক্তচাপ মাপার সময় যে ভুলগুলো করবেন না

হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ থাকে। পাশাপাশি এর কারণে শরীরের অন্যান্য…

1 hour ago

সন্তানের মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?

ছোট্ট সোনামনির হাতে কমবেশি সবাই মোবাইল তুলে দেন কোন না কোনো সময়। তবে কিছু সময়ের জন্য মোবাইল দেখা এক সময়…

3 hours ago

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

1 day ago

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

2 days ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

2 days ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

2 days ago