তিন সপ্তাহেই স্লিম, সেই সঙ্গে চকচকে চেহারা পাওয়ার কিছু গোপন রহস্য সম্পর্কে জেনেনিন

মেদ ঝরিয়ে চেহারাকে একটু ঝরঝরে করে তুলতে চান অনেকেই। আর এর জন্য প্রোটিন, ফ্যাট আর কার্বেহাইড্রেট বাদ দিয়ে ক্র্যাশ ডায়েটের দরকার নেই। কারণ তাতে ওজন কমলেও চেহারায় চকচকে ভাব আর থাকে না। এর সঙ্গে বাড়বে ক্লান্তি ও দুর্বলতা। কাজেই খাবার খান ক্যালোরি ও পুষ্টির কথা মাথায় রেখে। আর তাতেই তিন সপ্তাহের মধ্যে চেহারায় ধরা দেবে পার্থক্য।

ব্যায়ামের জন্য আলাদা সময় না পেলে লিফটের বদলে সিঁড়ি ওঠানামা করুন। কাছাকাছি গেলে হেঁটে যান। হাঁটার গতি বাড়ান। ঘরের কিছু কাজকর্ম করুন। সময়ে-সময়ে একটু স্ট্রেচিং করে নিন।

যদি বয়স বেশি হয় বা কোনও অসুখ-বিসুখ থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। তবে সুস্থ শরীর হলে একটু ডায়েট মেনে চললেই পেতে পারেন উপকার। এবার জানা যাক সেই ডায়েট সম্পর্কে-

প্রথম সপ্তাহ

সকালে দুধ-চিনি ছাড়া গ্রিন টি বা কালো চা। সঙ্গে একটা ফল৷ ব্রেকফাস্টে ছোট একবাটি খিচুরি বা ছোট দুটো রুটি। মিড মর্নিংয়ে একটা ফল ও চারটে আমন্ড বা আখরোট৷ দুপুরে সালাদ, দুটো আটার রুটি বা মাঝারি এক কাপ ব্রাউন রাইস, ডাল, সবজি, টক দই, মাছ অথবা মাংস। সন্ধ্যায় এক পিস ব্রাউন ব্রেডের স্যান্ডুইচ অথবা ছোট এক বাটি মুড়ি বা ছোলা। সঙ্গে গ্রিন টি অথবা কালো চা এক কাপ। রাতে ক্লিয়ার স্যুপ, সালাদ, একটা রুটি, সবজি মাছ চিকেন এই তিনটির মধ্যে একটি৷ শোয়ার আগে চিনি ছাড়া এক কাপ ডাবল টোনড দুধ।

দ্বিতীয় সপ্তাহ

সকালে গ্রিন টির সঙ্গে দুটা খেজুর৷ ব্রেকফাস্টে ছোট এক বাটি ওটস। মিডমর্নিংয়ে আগের মতোই একটা ফল ও চারটে আমন্ড বা আখরোট। দুপুরে একটা রুটি বা ছোট এক কাপ ভাত, ডাল, সবজি, টক দই, মাছ অথবা চিকেন। বিকেলে একটা ফল৷ ইচ্ছে হলে এক কাপ গ্রিন টি বা কালো চা। রাতে ভাত-রুটি বাদ। তার বদলে সালাদ, মাছ বা চিকেন। ডিম সেদ্ধ বা মাংসও চলতে পারে। ক্লিয়ার সুপও থাকবে।

তৃতীয় সপ্তাহ

সকালে গ্রিন টি, খেজুর। ব্রেকফাস্টে তরমুজ, শশা, পাকা পেঁপে ও আরও দু-একটি ফল, অল্প বাদাম। মিড মর্নিংয়ে ছোলা। অথবা মুগ, চানা, শশা, টমেটো দিয়ে বানানো সালাদ। দুপুরে ভাত-রুটি বাদ দিয়ে রাখুন সবজি, টক দই, মাছ বা চিকেন। বিকেলে ক্লিয়ার স্যুপ। রাতে সালাদ বা সবজি, সঙ্গে মাছ বা চিকেন এক পিস৷ শোয়ার আগে চিনি ছাড়া এক কাপ ডাবল টোনড দুধ।

অন্যান্য নিয়মাবলী

* ক্যালোরি ও গুণমান ঠিক রেখে খাবারে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন।

* এক দিন অনিয়ম হয়ে গেলে আধঘণ্টা বেশি হাঁটুন।

* অসময়ে খিদে পেলে প্রথমে জল খান৷ না কমলে মাখন ছাড়া ক্লিয়ার স্যুপ, শশা, তরমুজ, পাকা পেঁপে বা গ্রিন সালাদ খান অল্প করে।

* খাওয়ার আগে জল, ক্লিয়ার স্যুপ বা ডালের জল খেলে কম খাবারেই পেট ভরবে।

* মূল খাবার খাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে বা পরে দু’চামচ ইসবগুল জল মিশিয়ে খান। পেট পরিষ্কার থাকবে এবং খিদেও কম পাবে৷ অতিরিক্ত চর্বি শোষণ করতেও এর ভূমিকা রয়েছে।

News Desk

Recent Posts

ঘরে রক্তচাপ মাপার সময় যে ভুলগুলো করবেন না

হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ থাকে। পাশাপাশি এর কারণে শরীরের অন্যান্য…

9 hours ago

সন্তানের মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?

ছোট্ট সোনামনির হাতে কমবেশি সবাই মোবাইল তুলে দেন কোন না কোনো সময়। তবে কিছু সময়ের জন্য মোবাইল দেখা এক সময়…

11 hours ago

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

1 day ago

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

2 days ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

2 days ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

2 days ago