আপনি কি স্যাপিওসেক্সুয়াল? তাহলে কিছু তথ্য অবশ্যই জানুন

মানুষ যখন কারও প্রেমে পড়ে তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই সে চেহারা, বাহ্যিক সৌন্দর্য ইত্যাদি দেখে প্রেমে পড়ে। কিন্তু এমনকিছু মানুষ আছেন যারা চেহারা কিংবা শারীরিক সৌন্দর্য নয়, শুধু বুদ্ধিমত্তা দেখেই প্রেমে পড়েন তারা। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘স্যাপিওসেক্সুয়াল’।

স্যাপিওসেক্সুয়ালদের প্রেম ও যৌনতার অনুভূতি আবর্তিত হয় মস্তিষ্ককে ঘিরে। শারীরিক সৌন্দর্য বা সামাজিক অবস্থানের চেয়ে তাদের কাছে অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায় অপরদিকের মানুষটির বুদ্ধিমত্তা। অপরদিকের মানুষটির গভীর চিন্তাশক্তি, কৌতূহলী মনোভাব, প্রচলিত ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করার মানসিকতা তাদের প্রচণ্ড আকৃষ্ট করে। মনস্তাত্ত্বিক, রাজনৈতিক, দার্শনিক আলোচনা থেকে তারা রসদ সংগ্রহ করেন, এবং মনে করেন কারো যৌন আকর্ষণ শরীরে নয়, বরং তার মেধায় লুকিয়ে থাকে। আপনিও কি এমন? মিলিয়ে নিন-

স্যাপিওসেক্সুয়ালেরা কখনোই হুট করে প্রেমে পড়েন না। যেহেতু শারীরিক সৌন্দর্য তাদের টানে না, তাই প্রেমে পড়তে তাদের সময় লাগে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগে বন্ধুত্ব হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক ও বৌদ্ধিক সংযোগ হলে তবেই আসে প্রেমের প্রশ্ন।

মেধা বা বুদ্ধির আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি হলেও শারীরিক আকর্ষণ যে একেবারেই নেই, তা নয়। কিন্তু স্যাপিওদের কাছে শারীরিক আকর্ষণটা খুবই সাময়িক। দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য কখনোই চেহারাটা বড়ো হয়ে দাঁড়ায় না তাদের কাছে।

স্যাপিওদের কাউকে পছন্দ মানে সত্যিই পছন্দ। এর একটা কারণ স্যাপিওদের সহজে কাউকে পছন্দ হয় না, অনেকটা সময় লাগে। উলটোদিকের মানুষটার সঙ্গে মেধা ও বৌদ্ধিকভাবে সংযোগ স্থাপনের পরই আসে তাকে ভালোলাগার প্রশ্ন। ফলে যখন কাউকে তাদের ভালো লাগে, তখন সেটা বেশ সিরিয়াসই হয়।

স্যাপিওসেক্সুয়ালদের সব সম্পর্কই শুরু হয় বন্ধুত্ব দিয়ে, সেখানে প্রেমের ছিটেফোঁটাও থাকে না। তাই যখন আপনার মনে প্লেটোনিক স্তর পেরিয়ে প্রেমের সূত্রপাত হয়, তখন আপনার বন্ধুও একইরকম ভাবছেন কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। ফলে বন্ধুকে মনের কথা বলবেন কি বলবেন না, তা নিয়ে আপনার মনে সংশয় তৈরি হয়।

যারা অতিরিক্ত চিৎকার, মেজাজ দেখানো, কিংবা বোকামী করে তারা স্যাপিওদের দু’চক্ষের বিষ। যারা নিজেদের অনুভূতিকে যুক্তির সাহায্যে ব্যাখ্যা করতে পারেন, যারা চট করে মেজাজ হারান না, জটিল পরিস্থিতিকেও শান্তভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেন, সেরকম মানুষকেই পছন্দ করেন স্যাপিওরা।

খুব বেশি মানুষের সঙ্গে আপনার ঘনিষ্ঠতা হয় না সচরাচর। প্রেমের সংখ্যাও আপনার খুবই কম। সাধারণত নিজের ছোট বৃত্তেই থাকতে পছন্দ করেন আপনি। তাই আশপাশের অনেকেই আপনাকে অহঙ্কারী বলে ভুল করেন। তাতে আপনার মোটেই বিচলিত হওয়ার কারণ নেই, নিজের পছন্দ আর ধ্যানধারণায় স্থির থাকুন।

News Desk

Recent Posts

কান পরিষ্কার করতে গিয়ে এই ভুল করছেন না তো?

কান শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। তবুও বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই অঙ্গটি নিয়ে উদাসীনতা দেখা যায়। গোসল করতে গিয়ে কানে পানি ঢুকে…

10 hours ago

মায়ের শরীরে যে সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত তাকে ডাক্তার দেখাবেন

বয়স বাড়তেই বাবা-মা সন্তানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর সন্তানেরও উচিত এ সময় বাবা-মায়ের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়া। বিশেষ করে…

13 hours ago

প্রতিদিন গোসলে সাবান ব্যবহার কী ভালো?

গোসলের সময় কমবেশি সবাই সাবান ব্যবহার করেন। যাতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা বা জীবাণু ধুয়ে যায়। তবে প্রতিদিন ত্বকে সাবান…

17 hours ago

ফুসফুস ভালো রাখতে কী খাবেন?

মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ হলো ফুসফুস। এর সাহায্যেই শরীরে পৌঁছায় অক্সিজেন। আর এই অঙ্গের সাহায্যেই অক্সিজেন মিশে যায় রক্তে।…

2 days ago

ত্বকে অতিরিক্ত আঁচিল হওয়া কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?

অনেকের ত্বকেই অতিরিক্ত আঁচিল দেখা দেয়। নারী-পুরুষ উভয়েরই আঁচিল হওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আঁচিল হওয়ার…

2 days ago

ফ্যাটি লিভার ডিজিজ কী? এর লক্ষণই বা কী কী?

ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় বর্তমানে অনেকেই ভুগছেন। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আবার দু’ভাবে বিভক্ত- অ্যালোহলিক ও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি…

3 days ago